জটে জটিল ফ্লাইওভার প্রকল্প, দিনভর রাস্তায় ভিড় লরি ও ট্রলারের, যানজটে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
ফের জটে জটিল, রাজ্য সরকারের একটি ফ্লাইওভার প্রকল্প। পোর্ট ট্রাস্টের আপত্তির কারণে প্রশ্নচিহ্নের মুখে রামনগর থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কাজ। যদিও ইতিমধ্যেই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা।
ওয়েব ডেস্ক: ফের জটে জটিল, রাজ্য সরকারের একটি ফ্লাইওভার প্রকল্প। পোর্ট ট্রাস্টের আপত্তির কারণে প্রশ্নচিহ্নের মুখে রামনগর থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত ফ্লাইওভারের কাজ। যদিও ইতিমধ্যেই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা।
গার্ডেনরিচের রামনগর মোড় থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডের মোমিনপুর মোড়। দিনভর রাস্তায় ভিড় লরি ও ট্রলারের। নিট ফল, যানজটে ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। সম্প্রতি এলাকার যানজট এড়াতে নতুন একটি উড়াল পুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে থাকছে-
*উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য ৪.২ কিমি
*প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ ৩৫০ কোটি টাকা
*বরাদ্দের ৩০ শতাংশ আসবে JNNURM প্রকল্প থেকে
*বাকি ৭০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার
তবে রাজ্যের এই প্রকল্পে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের আপত্তি। পোর্ট ট্রাস্টের যুক্তি, উড়ালপুল নির্মাণে পোর্টের রাস্তা ব্যবহার করবে রাজ্য। সেজন্য রাজ্যকে দিতে হবে ৬৯ কোটি টাকা।
রাজ্যের পাল্টা যুক্তি
উড়াল পুল তৈরিতে রাস্তা ব্যবহার করা হবে না। উড়ালপুল হবে রাস্তার ওপর দিয়ে। উড়ালপুল তৈরি হলে কাটবে যানজট। তাতে উপকৃত হবে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষও। পুরো রাস্তার জন্য নয়, পিলার পিছু টাকা দিতে রাজি রাজ্য সরকার।
এই পরিস্থিতিতে জট কাটাতে পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। চিঠি পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির কাছে। গড়কড়ির কলকাতা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করে বৈঠকও করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজে। তাতেও অবশ্য জট কাটেনি। একদিকে বিবেকানন্দ সেতু অন্যদিকে গার্ডেনরিচের এই ফ্লাইওভার। আপাতত দুই উড়ালপুলের ভবিষ্যতই এখন বড়সড় প্রশ্নের মুখে।