গিরীশ পার্কে সাব ইন্সপেক্টরকে গুলির ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে পুলিসের অন্দরে
ওয়েব ডেস্ক: গিরীশ পার্কে গুলিবিদ্ধ সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে পুলিসের অন্দরে। ভোটের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। অথচ গ্রেফতারি এড়িয়ে যায় সিংহী বাগানের ঘটনায় জড়িতরা। এর পিছনে কি ছিল রাজনৈতিক প্রভাব? এই প্রশ্নেই ক্ষোভ জমছে পুলিসের নীচুতলায়।
মহানগরীতে যে কোনও নির্বাচনেরই আগে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, পরিচিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে পুলিস। উদ্ধার করা হয় বেআইনি অস্ত্র। এবারও ভোটের আগে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয় পুলিসের তরফে। কলকাতা পুলিসের পরিসংখ্যান বলছে,
ভোটের আগে উদ্ধার করা হয় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র,বন্দুক ও পিস্তলের ৫৫টি কার্তুজ ।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গ্রেফতার করা হয় ৯২৬ জনকে।
বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে এমন ১৭২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৯৭টি ক্ষেত্রে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এই গ্রেফতারি নিয়েই। নিচুতলার পুলিসকর্মীদের প্রশ্ন,ধৃতদের মধ্যে কেন ছিল না গোপাল তিওয়ারী, রামুয়া, রাজু সোনকার,মনুয়া বা ইফতিকারের মত কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ? এরা প্রত্যেকেই সিংগিবাগানে এসআইয়ের উপর গুলি চালনার ঘটনায় অভিযুক্ত। আর এতেই ক্ষোভ বাড়ছে নিচুতলার পুলিসকর্মীদের মধ্যে।
তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, ভোটের আগে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্টে কি পক্ষপাত ছিল? অদৃশ্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপেই কি এই দূষ্কৃতীদের ছেড়ে রাখা হয়েছিল? পুরভোটের দিন এদের হামলাতেই রক্তাক্ত হয়েছে পুলিসের সাদা ইউনিফর্ম। আর এতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পুলিসের নিচুতলায়। সেই ক্ষোভ শান্ত করতেই কি পরে ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারে সবুজ সঙ্কেত দেন কলকাতা পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা?