‘কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না’, জেলযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন Firhad
‘আমরা খারাপ শুভেন্দু আর মুকুল ভাল’, তোপ মদনের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় (Narada Case) সিবিআই (CBI)-এর হাতে গ্রেফতার পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-সহ, মন্ত্রী সুব্রত মখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টাপাধ্যায় (Shovon Chatterjee)। সোমবার রাতে পুলিশি প্রহরায় তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলযাত্রার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপিকে তোপ দেগে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিল না।”
আরও পড়ুন: কাকভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন মদন-শোভন, ভর্তি SSKM-এ, রয়েছে Oxygen সাপোর্ট
রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ চার হেভিওয়েটকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিজাম প্যালেস থেকে বের হওয়ার সময় ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যই কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আমাকে নিয়োগই করা হয়েছিল। শ্মশানে যাতে মরদেহ ঠিক করে পোড়ানো হয়, ভ্যাকসিনেশন ঠিক করে হয়, টেস্টিং ঠিক করে হয়, স্যানিটাইজশন ঠিক করে হয়, সেজন্য আমাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। কলকাতার মানুষকে আমায় বাঁচাতে দিন না।” এই কথা বলতে বলতেই পরিবহন মন্ত্রী গলা কেঁপে ওঠে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। একই সঙ্গে বিজেপিকেও তোপ দাগেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “বিজেপি সব কিনে নিতে পারে। সিবিআই, ইডি সব। এরপর হয়ত ইডি দিয়ে কেস করবে। আইনকে কিনতে পারবে না। আইনি পথে আমরা ন্যায়বিচার পাব।” তাঁর জামিন কেন মঞ্জুর হল না, এদিন সেই বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন পরিবহন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ধরনা দিয়েছেন, আদালত চত্বরে আইনমন্ত্রী, CBI-র চাপের যুক্তি মানল হাইকোর্ট
জেলযাত্রার সময় বিজেপি নেতা মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানান মদন মিত্র। তিনি বলেন, “আমরা খারাপ শুভেন্দু আর মুকুল ভাল।” শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সকালে ঘুমোচ্ছিলাম তখন তুলে নিয়ে এল। আমাদের আস্থা আছে। আইনি পথে চলব। আমি কোনও অন্যায় করিনি। কারও থেকে অর্থ সাহায্য নিইনি।”
আরও পড়ুন: দায়সারা নির্দেশ নিম্ন আদালতের, সঙ্গত কারণে হাইকোর্টে গিয়েছে সিবিআই: Bikash
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে তৃণমূলের তিনজন হেভিওয়েট নেতা এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেস আনা হয় তাঁদের। সতীর্থদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ছ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে বসে থাকেন তিনি। সোমবার দিনভর নাটকের পর নিম্ন আদালতে চারজনের জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্টে সেই জামিন খারিজ হয়ে যায়। আগামী ১৯ মে, বুধবার সেই মামলার পরবর্তী শুনানি। মাঝখানে এই কদিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে চার হেভিওয়েটকে।