১৫ ঘণ্টার লড়াইয়ে বাগে আসল বড়বাজারের আগুন
১৫ ঘণ্টার লড়াইয়ে বাগে আনা গেল বড়বাজারের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতভর যুদ্ধ চালান দমকল কর্মীরা। দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। আগুন নিভেছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটেনি। পিছু ছাড়ছে না আগুন আতঙ্ক।
ওয়েব ডেস্ক: ১৫ ঘণ্টার লড়াইয়ে বাগে আনা গেল বড়বাজারের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতভর যুদ্ধ চালান দমকল কর্মীরা। দমকলের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয়রাও। আগুন নিভেছে। কিন্তু আশঙ্কা কাটেনি। পিছু ছাড়ছে না আগুন আতঙ্ক।
আকাশ কালো। সোমবার রাতে বড়বাজারের অমরতলা লেনের আগুন নিভেছে মঙ্গলবার দুপুরে। প্রায় ১৫ ঘণ্টার লড়াই। আগুনকে বাগে আনতে বেজায় সমস্যায় পড়েন দমকল কর্মীরা। সরু গলি। ঢুকতেই পারেনি দমকল। পাশের বাড়ির ছাদ থেকেই শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের ফ্ল্যাটেও। আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে পৌছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। আটকে পড়া মানুষজনকে কোনওমতে বের করে আনা হয়। বাড়ি পুড়ে প্রায় ধ্বংস্তূপ। আগুন আঁচের আতঙ্কে রাতেই তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন অনেকে।
সরু গলি, তার ওপর কালো ধোঁয়া। কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাই। আহত হন বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী। কলকাতা তো বটেই, হাওড়া ডিভিশন থেকেও দমকলের আরও ইঞ্জিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। ল্যাডার নিয়ে আসা হলেও সরু গলিতে ঢুকতে পারেনি ল্যাডার।
রাত পর্যন্ত ফায়ার ফাইটিং সুট ছিল না দমকলকর্মীদের কাছে। ফলে আগুনের উতসের দিকে ঢুকতে গিয়েও বিপাকে পড়েন দমকলকর্মীরা। গোটা বাড়িটাই চলে যায় আগুনের গ্রাসে। ঘটনার জেরে রবীন্দ্র সরণি ও মহাত্মা গান্ধী রোডের একাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৈরি হয় যানজট। আগুন গিলে নিয়েছে একটা গোটা বাড়ি। যে কোনও দিন আবারও ঘটতে পারে এমনই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কারণ এযে জতুগৃহেই বসবাস। (আরও পড়ুন- নন্দরাম মার্কেটের স্মৃতি ফের উসকে দিল অমরতলা লেনের আগুন)