মাকে প্রণাম ও শিব, দুর্গার জপ করে দিন শুরু করেন অনুব্রত
নিজের সারাদিনের রুটিনের কথা জানালেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাইরে থেকে ডাকাবুকো, তবে অন্দরে একেবারে ধার্মিক অনুব্রত মণ্ডল। সকাল শুরু করেন মহাদেবের পুজো ও দুর্গার জপে। এরপর মাকে প্রণাম।
জি ২৪ ঘণ্টার ফেস অফ অনুষ্ঠানে অনুব্রত বলেন, ''সকালে উঠি। শৌচালয়ে যাওয়ার আগে মহাদেব ও দুর্গার জপ করি। তারপর তারা মায়ের জপ করি। মাকে প্রণাম করি''। দিদির পরামর্শে স্বাস্থ্যের দিকেও লক্ষ্য রেখেছেন বীরভূমের ডাকাবুকো তৃণমূল নেতা। বলেন,''সকালে বাড়িতে ট্রেডমিলে হেঁটেনি। মমতাদির অনুপ্রেরণাতেই কোনওদিন সাড়ে ৩ কোনও দিন ৪ কিলোমিটার হাঁটি। দু'জন ফিডিওথেরাপিস্ট আসেন। ব্যায়াম করার পর স্নান করি''।
এরপর পুজোয় বসেন শিবভক্ত অনুব্রত। বলেন,''শিবকে ঘি, মধু মাখিয়ে জল ঢালি। বাড়িতে তিনটে শিব রয়েছে। ৫১টা, ২১টা ও ১১টা বেলপাতা চাপাই। সোমবার আরও আয়োজন থাকে। দিদি ও তৃণমূলের নামেও বেলপাতা চাপাই। তারপর বেরিয়ে পড়ি। ওই যে সাড়ে ১১টায় নেমে যাই। আবার সেই রাত দুটোয়''।
বাড়ির টেবিলে গত ১০ বছর ধরে খাননি বলেও দাবি করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ''২০০৮ সাল থেকে ডাইনিং টেবিলে খাই না। গ্যারাজেই আমার অফিস। নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে বসি। ঘর থেকে খাবার এনে দেয়। দুপুরে পোস্ত মাস্ট। পেঁয়াজ পোস্ত, আলুপোস্ত, নয়তো পোস্ত বাটা। রুটি হলে চারটে। সকালে দেড় কাপ মুড়ি ও ছোলার ডাল''। বয়সের কারণে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনলেও এককালে এক কেজি-দেড় কেজি মাংস খেয়েছেন বলেও দাবি করলেন অনুব্রত। এত ব্যস্ততার জেরে পরিবারকে সময় দেওয়া হয় না বলে স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পর আসছে সস্তার চার চাকা, লিটারে ৩৬ কিলোমিটার মাইলেজ