রাতের শহরে ইভটিজিং, খবরের জেরে গ্রেফতার অভিযুক্ত
রাতের শহর যে নিরাপদ নয়, তা প্রমাণ হল আরও একবার। সেইসঙ্গেই উঠল পুলিসির গাফিলতির অভিযোগ। শনিবার রাতে ই এম বাইপাসের কাছে গড়ফা থানা এলাকায় এক মহিলাকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
রাতের শহর যে নিরাপদ নয়, তা প্রমাণ হল আরও একবার। সেইসঙ্গেই উঠল পুলিসির গাফিলতির অভিযোগ। শনিবার রাতে ই এম বাইপাসের কাছে গড়ফা থানা এলাকায় এক মহিলাকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। মহিলার অভিযোগ করেন, পুলিস ডেকে ঘটনায় অভিযুক্ত এক বাইক আরোহীকে ধরিয়ে দেওয়া হলেও, তাকে ছেড়ে দেয় পুলিস। সংবাদমাধ্যমে ইভটিজিং-এর খবর প্রচার হতেই পুলিসি গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেন যুগ্ম কমিশনার। ফের মহিলার থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শেষপর্যন্ত সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অভুযুক্তকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ডিউটি অফিসারকেও।
নববর্ষের রাতে ইএম বাইপাসের কাছে গড়ফা থানা এলাকা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন এই মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। মহিলার অভিযোগ, আচমকাই বাইক নিয়ে এক যুবক চড়াও হয় তাঁদের ওপর। সেই সময় ওই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন এক পুলিস সার্জেন্ট। তাঁকে বিষয়টি জানানোর পরই, তিনি পুলিসকর্মীদের খবর দেন। পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই এলাকা পূর্ব যাদবপুর থানার এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে থানা থেকে জানানো হয়। অভিযুক্ত যুবক এবং অভিযোগকারী মহিলা ও তাঁর বন্ধুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গড়ফা থানায়। মহিলার বক্তব্য, গাড়িতে যেতে যেতে পুলিসের সামনে তাঁকে হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্ত যুবক।
মহিলার বক্তব্য, শনিবার রাতেই গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন করার পর থানা থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়, অভিযুক্তকে রবিবার আদালতে তোলা হবে। কিন্তু রবিবার বেলায় ওই মহিলা খবর পান, বহাল তবিয়েতে অভিযুক্ত যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরপরই সংবাদমাধ্যমের শরণাপন্ন হন ওই মহিলা। এরই মধ্যে পুলিসও হাজির হয় মহিলার বাড়িতে। রবিবার রাতে ফের গড়ফা থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলা এবং তাঁর বন্ধুকে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযুক্তকে ধরার পরও তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল, তার সদুত্তর মেলেনি।