শহরের অলিতে গলিতে যেভাবে জাল ছড়াচ্ছে এসকর্ট চক্র!

শুধুমাত্র একটা রেজিস্ট্রেশন। তাহলেই সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে বোল্ড রিলেশন। সঙ্গে মোটা টাকা উপার্জন। বিজ্ঞাপন দেখে এই ফাঁদে পা দিয়েছেন কী মরেছেন! শহরের অলিতে গলিতে ওঁত পেতে রয়েছে এসকর্ট চক্রের প্রতারণার জাল।

Updated By: Sep 6, 2016, 05:48 PM IST
শহরের অলিতে গলিতে যেভাবে জাল ছড়াচ্ছে এসকর্ট চক্র!

ওয়েব ডেস্ক : শুধুমাত্র একটা রেজিস্ট্রেশন। তাহলেই সুন্দরী মহিলাদের সঙ্গে বোল্ড রিলেশন। সঙ্গে মোটা টাকা উপার্জন। বিজ্ঞাপন দেখে এই ফাঁদে পা দিয়েছেন কী মরেছেন! শহরের অলিতে গলিতে ওঁত পেতে রয়েছে এসকর্ট চক্রের প্রতারণার জাল।

দু-চার লাইনের শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনে রঙিন রাতের হাতছানি। পত্রমিতালির আড়ালে মহানগরে এসকর্ট চক্র। তিলোত্তমার উত্তর থেকে দক্ষিণ, গড়িয়া থেকে গড়িয়াহাট, বালি থেকে বেলগাছিয়া, সংবাদপত্রের পাতায় উষ্ণতার ছোঁয়া। শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনের কলামে মিডলম্যানদের সুলুক সন্ধান। মাত্র একটা ফোন। তারপর রেজিস্ট্রেশন। নিষিদ্ধ দুনিয়ায় অবাধ প্রবেশের ছাড়পত্র। বিজ্ঞাপনের অন্দরমহলে হানা দিয়ে খোঁজ মিলেছে তিলোত্তমার সাবালক হয়ে ওঠার নানান তথ্য-তালাশ।

বিভিন্ন পত্রমিতালি সংস্থার কাজের ধরনে রকমফের রয়েছে। মেম্বারশিপ নিলে নিঃসঙ্গতা দূর করার গ্যারান্টি। তিন ধরনের সদস্যপদ। মোবাইলে কথা বলার সঙ্গী-সঙ্গিনী, সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ এবং ডিপ রিলেশন পদ্ধতিতে মিতালি সরবরাহ। হাতের নাগালে সময় ও রাত কাটানোর সঙ্গী ও সঙ্গিনী। বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলেই সুরেলা কণ্ঠে বিপাশা, সুস্মিতা, পায়েলরা বুঝিয়ে দেবে সদস্যপদ গ্রহণের পদ্ধতি। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাকি গৃহবধূ নাকি ডিভোর্সি? ব্যস, বোল্ড রিলেশন তৈরির ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেন। প্রতারিত হওয়ার প্রথম ধাপ। কীভাবে জাল বিছিয়েছে এই প্রতারণা চক্র?

বিজ্ঞাপনে যে নম্বরগুলি দেওয়া হয়, সবই প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম। গ্রামগঞ্জ থেকে অশিক্ষিত, গরিব মানুষদের ভোটার কার্ড  ব্যবহার করে এই সিমগুলি তোলা হয়। কেউ ফোন করলে রেজিস্ট্রেশন বাবদ তার থেকে টাকা নেওয়া হয়। যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করা হয়, সেখানেও কারচুপি। গ্রামগঞ্জের গরিব মানুষদের ভুল বুঝিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এই সব সংস্থা। রেজিস্ট্রেশনের পর মেডিক্যাল ফিটনেস পরীক্ষার নামে আরও টাকা। তারপর আরও নানা অজুহাতে দিতে হবে টাকা। যখন বুঝতে পারলেন, তখন আপনার পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। ফোন করে সেই টাকা দাবি করলে, শুরু হয়ে যায় ব্ল্যাকমেলিং, থ্রেট।

পুলিসের দাবি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক সময়েই লজ্জায় পুলিসে যেতে দুবার ভাবেন বহু মানুষ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ জানানোর তথ্যপ্রমাণও থাকে না হাতে। তাই সাবধান। বিজ্ঞাপন দেখে ফোন করার আগে হাজারবার ভাবুন।

.