SSC: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন! ববিতা সরকারের মামলায় তদন্ত শুরু ইডির
আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতির মূলে হয়তো আর্থিক লেনদেন রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাকে সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় দেয় হাইকোর্ট।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি (SSC) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি মামলায় এফআইআর (FIR) দায়ের ইডির (ED)। ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) মামলায় তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের পর এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূলে আর্থিক লেনদেন দেখবে ইডি।
প্রসঙ্গত, আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতির মূলে হয়তো আর্থিক লেনদেন রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাকে সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় দেয় হাইকোর্ট। আদালত বলে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করবে ইডি। সিবিআই-এর এফআইআরের সূত্র ধরেই তদন্ত করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সিবিআই-এর এফআইআর-এর সূত্র ধরে এফআইআর করবে ইডিও।
আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই-এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে ইডি। তদন্তের জন্য পৃথক দলও গঠন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি, ববিতা সরকারের কাছ থেকেও বেশকিছু তথ্য়প্রমাণ সংগ্রহ করে ইডি। এরপরই একেবারে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পাচ্ছেন ববিতা সরকার। এমনকি, বেতন বাবদ প্রথম কিস্তিতে যে ৭ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা, সেই টাকাও পাবেন ববিতা।
২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ করে এসএসসি। সে বছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়ে ববিতা সরকার। ওয়েটিং লিস্টে প্রথম ২০-তেই নাম ছিল তাঁর। এরপর স্রেফ দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা নয়, সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিল মন্ত্রীর পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নাম। এমনকি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরিও পান তিনি। আর ববিতা চলে যান ওয়েটিং লিস্টে ২১ নম্বরে। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা।
আরও পড়ুন, Bombay HC: কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই যৌনতায় সম্মতি নয়: হাইকোর্ট