খাস কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় পড়ে মহিলার দগ্ধ দেহ
ওয়েব ডেস্ক: খাস কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় পড়ে মহিলার দগ্ধ দেহ। পাশে পড়ে লাইটার আর চপ্পল। কাকভোরে এমন দৃশ্য দেখে শিহরিত শহরবাসী! কী করে এমন হল? কেউ কি মেরে ফেলে দিয়ে গেল? উঠে আসে নানা প্রশ্ন। পুলিস সূত্রে খবর, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বৃদ্ধা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় পৌনে চারটে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার রঘুনাথ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের একটি ওষুধের দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক মহিলার দগ্ধ দেহ। এতটাই পুড়ে গিয়েছে, চেনার উপায় নেই। দেহের পাশে পড়ে লাইটার আর চপ্পল। শুরু হয় শোরগোল।
রাতে কেউ কোনও চিত্কার শোনেনি। তাহলে প্রকাশ্য রাস্তায় একজনের দেহ এল কীভাবে? ভেবে কুল পাচ্ছিল না এলাকাবাসী। পুলিসি তদন্তে জানা যায়, পোড়া দেহ ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার। নাম শুভ্রা চক্রবর্তী। বাড়ি ২১ নম্বর গোপাল বোস লেনে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃদ্ধার ৩৫ বছরের ছেলে দীর্ঘদিন ধরে হাঁপানি ও মানসিক রোগে ভুগছেন। ৩ দিন ধরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিতসা চলছে। বৃদ্ধার মেয়ে ডিভোর্সি। সাত বছরের সন্তানকে নিয়ে তিনিও মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। রাত ১টা ১৮ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বৃদ্ধাকে ফোন করেন মেয়ে। জানিয়ে দেন, ভাইকে ডাক্তার জবাব দিয়ে দিয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধা। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা লাইটার ও চপ্পল দেখে দেহ সনাক্ত করেন বৃদ্ধার মেয়ে। স্বামী মারা গিয়েছে অনেকদিন। কেরোসিনের ব্যবসা ছিল বৃদ্ধার নামে। অভাব না থাকলেও, সংসারে টান ছিল। বলছেন প্রতিবেশীরা।