'ভয় পেয়ো না', মুকুল-শুভেন্দুকে বার্তা মমতার
ভয় দেখিয়ে দলভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূলের বর্ধিত কোর-কমিটি বৈঠকে মুকুল-শুভেন্দুদের উদ্দেশ্য করে ভয় না পাওয়ার ডাক দিলেন মমতা।
কলকাতা: ভয় দেখিয়ে দলভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। তৃণমূলের বর্ধিত কোর-কমিটি বৈঠকে মুকুল-শুভেন্দুদের উদ্দেশ্য করে ভয় না পাওয়ার ডাক দিলেন মমতা।
কী তাত্পর্য এই অভিযোগের? রাজনৈতিক মহলের বলছে, এক ঢিলে দুই পাখি টার্গেট। বিজেপিকেও বেঁধা হল। একইসঙ্গে বার্তা দেওয়া হল মুকুল-শুভেন্দুদেরও।
একের পর এক পর বিদ্রোহে কতটা চাপে তৃণমূল? তৃণমূল ভাঙাতে বিজেপি কি সক্রিয়? কেন দলীয় অবস্থান থেকে ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের কথায়? রাজ্য রাজনীতির তুঙ্গে থাকা এইসব জল্পনার মাঝেই শনিবার ছিল তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠক। হাজির ছিলেন সদ্য সিবিআই-ফেরত মুকুল রায়ও। ছিলেন সারদা কাণ্ড নিয়ে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বিদ্রোহী সাংসদ বিধায়করাও।
তাদের সবাইকে বসিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরই এখন তৃণমূলের লাইন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক চক্রান্তে সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। এটাই দলের লাইন।
বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, শুভেন্দু-মুকুলকে চাপ দিচ্ছে বিজেপি। শুভেন্দুকে বলছে হয় বিজেপিতে এসো, না হলে সিবিআই ডাকবে। মুকুলকে বলছে হয় পার্টি ভাঙো, না হলে জেলে যাও।
শুভেন্দুকে বলেন, জেলে যেতে ভয় পেও না। দল পাশে আছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, তিনিও জেলে যেতে পারেন। তবে জেলে যেতে তাঁর আপত্তি নেই তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতো গেল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ। কিন্তু দলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে কী বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী? খুব স্পষ্ট, প্রথমত, বিজেপি দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। আরও একবার তা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহীদের সম্পর্কে নীরব থেকে আপাতত দলে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করলেন। সব্যসাচী দত্তদের বাড়তি দায়িত্বও দিলেন তিনি।
তৃতীয়ত, দলে মুকুল নির্ভরতা কমাতে শুভেন্দু অধিকারীকে বাড়তি গুরুত্ব ও দায়িত্ব দিলেন তৃণমূল নেত্রী। এরই সঙ্গে বেশ কিছু কৌশলী পদক্ষেপও গ্রহণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি কেউ দল ছাড়েন, তা যে আসলে সিবিআই আতঙ্কেই ছাড়বেন সেকথাও আগাম বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।