Dilip Ghosh: 'জামাকাপড় পাল্টানোর মতো মত পাল্টান, উনি রাজনীতির ব্যবসায়ী', মমতাকে আক্রমণ দিলীপের
তিনি জানিয়েছেন, ‘হাইকোর্টেই যেতে হয়। পুলিস অনুমতি দেয়না। প্রতিটি ঘটনা, সে খুনখারাপি হোক, বা সভা সমাবেশ, বারবার হাইকোর্টে যেতে হয়। উনি যেখানে ভরপেট খেয়ে গিয়ে ইফতার করেন, বা নমাজ পড়েন, সেই রেড রোডেও আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে সভা করেছি।‘
অয়ন ঘোষাল: বৃহস্পতিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শাসকদল এবং সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণও করেছেন তিনি।
সাগরদিঘির পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই রাজনীতি বোঝা মুশকিল। কখনও প্রোমোশন। কখনও সাসপেন্ড। ওখানে কংগ্রেস প্রার্থী নিজের পয়সায়, নিজের শক্তিতে জিতেছে। সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে তাকে জিতিয়েছে। এখানে কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই। কংগ্রেস ওখানে ধুয়ে গিয়েছিল। এরা হয়তো তাকে নিজেদের মতো করে চালাতে চাইছে। বায়রন একজন ব্যবসায়ী। আমাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। মানুষ ওকে জিতিয়েছে। তৃণমূল রোজ সাসপেন্ড করে। রোজ নিয়ে নেয়। আবার নিয়ে নেবে। তাকে আবার টিকিট দেবে। এগুলো নতুন কিছু না’।
পদ্মাবত ছবি আটকে দেওয়ার সময় সোচ্চার ছিলেন মমতা। তিনি কেরালা ব্যান করলেন কেন?
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওনার অনেক ইতিহাস আছে। উনি জামাকাপড় পাল্টানোর মতো সকাল বিকেল মত পাল্টান। উনি রাজনীতির ব্যবসায়ী। তিনি দেশ, দুনিয়া, সমাজ কিছু বোঝেন না। উনি খালি রাজনীতি বোঝেন। শিল্পীরা তার সঙ্গে মঞ্চ আলো করে বসে থাকেন, গান করেন, নাচেন। তারা এখন কোথায়? তারা চুপ করে আছেন শুধুমাত্র পেটের দায়ে। তারা যখন শিল্প করেন, সেটার অধিকার আছে। অন্য কেউ করলে নেই! একজন বাঙালি অন্য রাজ্য নিয়ে সিনেনা করেছে। যেই ভোট নষ্ট হওয়ার ভয়, ওমনি সেটা বন্ধ! ওনার সঙ্গে যে সমস্ত অন্নদাস এঁটো কাঁটা খাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়ায়, তারা এখন চুপ কেন? এই সব বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি কবে খুলবে?’
আরও পড়ুন: Dead Body Recovered in Kolkata: খাস কলকাতায় পুকুরে ভাসছে দেহ, একটি বিষয় নজর কাড়ল পুলিসের
নবজোয়ার শেষ হলে পঞ্চায়েত। এভাবে একটা দলের ইচ্ছামতো ভোট হতে পারে কি?
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওটা কি আদৌ শেষ হবে? কোথা থেকে কোথায় যাবে? তার জন্য ভোট আটকে রাখা হবে। বিচিত্র ব্যাপার। জানিনা নির্বাচন কমিশন তাদের বাড়ির চাকর কিনা। তাদের ইশারায় চলবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বতন্ত্র বলা হয়। ওরা দিল্লীর নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ধর্না দেয়। এখানে কি কমিশন ওদের পোষা?’
দাঁড়িভিটে এনআইএ
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওখানে পাঁচ বছর আগে যা ঘটেছিল, সেটাও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ফল। ওখানে উর্দু শিক্ষক পাঠানো হয়েছিল। ওদের অন্য শিক্ষক দরকার ছিল। উর্দু শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। ওখানে গুলি চলেছে। দুজন মারা গিয়েছে। সঠিকভাবে ময়নাতদন্ত হয়নি। আমরা পাঁচ বছর ধরে দাবি করে আসছিলাম। আজ আদালত তার স্বীকৃতি দিল। আশা করব এনআইএ তদন্ত সঠিক পথে এগোবে।‘
আরও পড়ুন: The Kerala Story Banned: বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, 'বেসুরো' শুভাপ্রসন্নের বাড়িতে কুণাল...
কেরালা নিয়ে বেসুরো শুভাপ্রসন্ন
তিনি জানিয়েছেন, ‘কোনও দিন তারা সুরে গাননি। কি সুবিধা পাবো, সে কথাই ভেবেছেন। এখন তারা বুঝেছেন, দিদি ভাইপো জেলে যাবেন। তখন আমাদের কি হবে? আমরা পাবলিককে কিভাবে ফেস করব?’
সিমলাপালে শুভেন্দূর সভায় পুলিসের না। ফের হাইকোর্টে বিজেপি
তিনি জানিয়েছেন, ‘হাইকোর্টেই যেতে হয়। পুলিস অনুমতি দেয়না। প্রতিটি ঘটনা, সে খুনখারাপি হোক, বা সভা সমাবেশ, বারবার হাইকোর্টে যেতে হয়। উনি যেখানে ভরপেট খেয়ে গিয়ে ইফতার করেন, বা নমাজ পড়েন, সেই রেড রোডেও আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে সভা করেছি।‘
কেষ্টহীন বীরভূম বিরোধি শূণ্য করার ডাক অভিষেকের
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গতবারও অনেকে বলেছিল, বিরোধি শূণ্য চাই। আমরাও এবার তৈরি আছি। কেষ্ট বিষ্টু যেই আসুক, গত পঞ্চায়েতের মতো ফাঁকা মাঠ পাবে না এবার।‘