ডিজির রিপোর্ট ফাঁসে বিতর্ক
রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের গোপন নির্দেশ ফাঁসের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের এক জেলা থেকে নির্দেশ প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রমণ করছে সিপিআইএম।
রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের গোপন নির্দেশ ফাঁসের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের এক জেলা থেকে নির্দেশ প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জেলায় জেলায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আক্রমণ করছে সিপিআইএম।
রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার পুলিস সুপারকে ডিজি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুসারে এই রিপোর্ট পাঠানো হয় জেলা পুলিস সুপারদের কাছে। গোপন অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি অংশটি জেলার সমস্ত থানার ওসি এবং অন্যান্যদের টেলিগ্রামের মাধ্যমে পাঠানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডিজির পাঠানো গোপন অংশটি সমেত সমস্ত থানায় ওই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ নিচুতলার পুলিস কর্মীদেরকেও জানিয়ে দেওয়া হল, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকেরা, এর জন্য দায়ী সিপিআইএম। ডিজির নির্দেশ, এর প্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু তাই নয়, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নির্দেশে বলা হয়েছে। কী করে রাজ্য পুলিসের ডিজির গোপন রিপোর্ট পুলিসের নীচুতলার কর্মীদের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত বছর মে মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের এনায়েতপুরে, শিলদা ক্যাম্প থেকে চুরি যাওয়া অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন ডিজির মোবাইলে একটি ফোন আসে। তারপরই বয়ান বদল করে ডিজি বলেন, শিলদা ক্যাম্পের ঘটনায় সিপিএম জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিধানসভায় বিরোধিদলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এতদিন কথায় দলতন্ত্র চলছিল। মুথ্যমন্ত্রী থানা থেকে দুষ্কৃতী ছাড়িয়ে আনছিলেন। দলতন্ত্র কায়েম করতে এবার সার্কুলার জারি হল। সিপিআই নেতা মঞ্জুকুমার মজুমদার বলেন, আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও বিপদজনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিত্র বলেন, এটা শুভ লক্ষণ নয়।