এবার জেরার মুখে সারদার ডিরেক্টর দেবিকা
চিটফান্ড কাণ্ডে সারদাকর্তাকে জেরায় প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। মঙ্গলবারও বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সংস্থার আরেক ডিরেক্টর দেবিকা দাশগুপ্তকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে নাম থাকা সজ্জন আগরওয়াল এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে। জেরা করা হয়েছে সারদার কর্নধার সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও।
চিটফান্ড কাণ্ডে সারদাকর্তাকে জেরায় প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। মঙ্গলবারও বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সংস্থার আরেক ডিরেক্টর দেবিকা দাশগুপ্তকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে নাম থাকা সজ্জন আগরওয়াল এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে। জেরা করা হয়েছে সারদার কর্নধার সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও।
এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ দেবিকাকে বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে ডেকে পাঠিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক জেরা করেন গোয়েন্দারা। গত কয়েকদিন ধরে সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিস এবং অন্যান্য অফিসে তল্লাসি চালিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে বিধাননগর পুলিস। ইতিমধ্যেই সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে সেই নথি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। নথিতে উঠে আসা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতেই এদিন দেবিকা দাশগুপ্তকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে ডেকে পাঠানো হয় সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে নাম থাকা সজ্জন আগরওয়ালকে। সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে সুদীপ্ত সেন দাবি করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার তাঁর সঙ্গে সজ্জন আগরওয়ালের পরিচয় করিয়ে দেন। চিঠিতে বলা হয়েছিল সারদা গোষ্ঠীর আয়কর সংক্রান্ত বিষয়গুলি সামলানোর জন্য সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে মোটা টাকা পারিশ্রমিক নিতেন সজ্জন আগরওয়াল। সেই সূত্রে এর আগেও সজ্জন আগরওয়ালকে জেরা করেছিল পুলিস। মঙ্গলবারও বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে ডেকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সজ্জনকে।
এদিন জেরা করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকর্তা দেবব্রত সরকারকেও। অন্যদিকে এদিনও দিনভর সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানীকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা। সারদার কয়েকজন কর্মীকেও সিপি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এলাকা থেকে সুদীপ্ত সেনের একটি দামী গাড়ি উদ্ধার হয়। গাড়ির নম্বরটি হরিয়ানার। সম্ভবত সুদীপ্ত সেনের ছেলে গাড়িটি ব্যবহার করতেন।
তদন্তে এখনও পর্যন্ত সারদা গোষ্ঠীর মোট ২০০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে পুলিস। তা বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটে ওই সম্পত্তির তালিকাও প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দাদের অনুমান, বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির বাজার দর বারো থেকে চোদ্দো কোটি টাকা। তবে গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা তুলেছেন সারদার এজেন্টরা। তাই বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি যে হিমশৈলের চূড়ামাত্র, সেবিষয়ে গোয়েন্দারা মোটামুটি নিশ্চিত।