অভিষেক ব্যানার্জিকে চড় মারা যুবক নিজেকে বিজেপি কর্মী হিসাবে স্বীকার করেছে, দাবি পুলিসের

চড় মারার পর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত দেবাশিস তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। গোটা ঘটনা শুধু রাজ্য রাজনীতিতে নয়, তোলপাড় তুলেছে জাতীয় স্তরেও।

Updated By: Jan 5, 2015, 08:28 AM IST
অভিষেক ব্যানার্জিকে চড় মারা যুবক নিজেকে বিজেপি কর্মী হিসাবে স্বীকার করেছে, দাবি পুলিসের

ওয়েব ডেস্ক: যুব তৃণমূল সভাপতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চড় মারা যুবক দেবাশিস আচার্য নিজেকে বিজেপি কর্মী হিসাবে স্বীকার করেছে। এমনই দাবি পুলিসের। তার আগেও, সাংবাদিকদের সামনে নিজের হিন্দুত্ববাদী মনোভাব প্রকাশ করেছিল দেবাশিস। চড় মারার পর গণপিটুনিতে গুরুতর আহত দেবাশিস তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। গোটা ঘটনা শুধু রাজ্য রাজনীতিতে নয়, তোলপাড় তুলেছে জাতীয় স্তরেও।

চণ্ডীপুরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মেলন। মঞ্চে রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়মমাফিক বক্তব্য শুরু করেছিলেন। মিনিট তিনেক পর  ছন্দপতন। ছবি তোলার অছিলায় আচমকাই ক্যামেরা হাতে  মঞ্চে উঠে পড়ে এক যুবক। আর তারপরই...

পলক ফেলার আগেই তাকে ধরে ফেলেন মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতাকর্মীরা। শুরু হয় বেধড়ক মার। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সভাচত্বর। তৃণমূল কর্মীদের রোষের মুখে পড়েন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। ভাঙচুর হয় চণ্ডীপুর থানা। বেধড়ক মার খান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। ঘটনার পর তৃণমূল দাবি করে, এই যুবক তাদের কেউ নয়।

বিজেপির দাবি, যুবক তৃণমূলেরই লোক। আসলে কে এই চড় মারা যুবক? নাম জানা যায় দেবাশিস আচার্য। বাড়ি তমলুকের কলেজ মোড়ে। তমলুক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত অবস্থায় দেবাশিসের বক্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়, এই চড় মারার সঙ্গে  তার ব্যক্তিগত হিন্দুত্ব আদর্শের একটা সম্পর্ক আছে।

পুলিসের দাবি, দেবাশিস জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সম্পাদক অসীম মিশ্র তার নেতা। যদিও অসীম মিশ্র তা অস্বীকার করেছেন।

 

.