'শহীদ স্মারক'-র বুকে অগাছা, কচি পাতায় মুখ ঢেকেছে 'ভাষা'...
শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা কার্জন পার্ক। সেখানেই রয়েছে কালো পাথরের তৈরি 'ভাষা শহিদ স্মারক'।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: চারিদিক আগাছায় ঢাকা। ছড়িয়ে রয়েছে রাবিশ। ভাঙা কাচের টুকরো। চারিদিকে দুর্গন্ধ। আছে বলতে একটি হলুদ পলাশ। মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে 'ভাষা শহিদ স্মারক' ফলক।
শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা কার্জন পার্ক। সেখানেই রয়েছে কালো পাথরের তৈরি 'ভাষা শহিদ স্মারক'। ফলকে খোদাই করা, '১৯৯৮ সালে ২৬ মে যার উন্মোচন করলেন অন্নদাশঙ্কর রায়'। সেই ঠিকানা এখন বিনাপয়সার শৌচালয়! বাতি স্তম্ভ আছে নেই আলো।
আর একদিন পরেই ২১ ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহিদ দিবস পালন করা হয় কার্জন পার্কে। সেদিন আসেন বিশিষ্টজনেরা। তার ঠিক আগেই পরিষ্কার করা হয় 'ভাষা শহিদ স্মারক' লেখা ফলকটি! তারপর? স্মারকের বুকে গজিয়ে ওঠে অগাছা! জমতে থাকে ধুলো! মাত্র তিনচারটি কচি পাতার আড়ালে আপাতত মুখ লুকিয়েছে 'ভাষা'। ফাটল ধরেছে ফলকে।
একসময়ে শহীদ স্মারক সমিতির সভাপতি ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কুমার রায়, যোগেন চৌধুরী, শঙ্খ ঘোষের মত মানুষেরা। এখন সভাপতি বিভাষ চক্রবর্তী। সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রিতা লাহিড়ী বললেন, "ওটা আমার সন্তানের মত। তেমন ভাবেই আগলে রাখি। এখন দেখলে চোখ থেকে জল পড়ে'। জানালেন, 'মেট্রো রেলের কাজ চলছে। ওরা আমাদের বলেছে আগামী বছরের মধ্যে উদ্যান আমাদের হাতে দিয়ে দেবে। কাজ শেষ হয়ে যাবে'। আগামী মঙ্গলবার বেদিতে ফুল দিয়ে, মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান।