একুশের আগে BJP-র আইটি সেলের টক্করে CPM-র 'গণসংগঠন' হোয়াটসঅ্যাপ সেল!

ভারতের মতো দেশে ভার্চুয়াল প্রচারে যে ঝড় তোলা যায়, তার পথপ্রদর্শক নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।

Reported By: মৌমিতা চক্রবর্তী | Updated By: Aug 22, 2020, 08:12 PM IST
একুশের আগে BJP-র আইটি সেলের টক্করে CPM-র 'গণসংগঠন' হোয়াটসঅ্যাপ সেল!

মৌমিতা চক্রবর্তী : যুগ বদলেছে। তাল মিলিয়ে বদলেছে রাজনীতির নীতিনিয়মও। একটা সময়ে ঘরে ঘরে গিয়ে চলত রাজনৈতিক আদর্শের প্রচার। যুগের হওয়ায় নাগরিক এখন  নেটিজেন। তার ঠিকানা ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কোভিডের পর তো গোটা ব্যবস্থাই আমূল বদলে গিয়েছে। সেমিনার এখন ওয়েবিনার। অমিত শাহ থেকে মমতার একুশের ভাষণ- এখন মুঠোফোনের স্ক্রিনে। তৃণমূল-বিজেপির এমন ডুয়েটে সোশ্যালে আধিপত্য বাড়াতে চাইছে সিপিএম।  আর এক্ষেত্রে সেই চিরাচরিত গণসংগঠনের কায়দায় একেবারে দক্ষ 'হোয়াটসঅ্যাপ সেল' গড়ার উদ্যোগ নিল আলিমুদ্দিন। তৈরি হয়েছে একটি খসড়া পরিকল্পনাও। 

ভারতের মতো দেশে ভার্চুয়াল প্রচারে যে ঝড় তোলা যায়, তার পথপ্রদর্শক নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে 'অচ্ছে দিন আয়েঙ্গে'। হোয়াটসঅ্যাপে চালাচালি হচ্ছে 'হর হর মোদী ঘর ঘর মোদী'। তারপর ভার্চুয়াল প্রচারে বিরোধীরাও এগিয়েছে। তবে নিন্দুকরা বলে, বিজেপির 'আইটি সেল' নাকি ভারতসেরা! তাদের সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। গত লোকসভা ভোটের পর পেশাদার ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'দিদিকে বলো', 'বাংলার গর্ব মমতা'র মতো কর্মসূচিও নিয়েছেন প্রশান্ত। সিপিএমও যথেষ্ট সক্রিয় ফেসবুকে। তবে তা কোনওভাবেই বিজেপি, তৃণমূলে ধারেকাছে নয়। তো এহেন পরিস্থিতিতে বাস্তবতা অনুধাবন করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যুবসমাজের কাছে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। এর মধ্যে এবার ঢোকানো হচ্ছে গণসংগঠনগুলিকেও। সেজন্য দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা।  সেটা কী রকম? 

রাজ্যস্তরে প্রতিটি জেলার  নেতা, গণসংগঠনগুলির নেতা, সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে গঠন করা হবে রেড স্ট্রিম কোর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। জেলাস্তরে সম্পাদকমণ্ডলী, জেলা কমিটির সদস্য ও এরিয়া কমিটির সম্পাদকদের নিয়ে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এর পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে, বিধানসভা ভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হবে। রাজ্য দফতরে পাঠাতে হবে জেলা কমিটির সব সদস্যদের নাম ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর।


          
একুশের নির্বাচনের আগে হোয়াটসঅ্যাপেই পাঠানো হবে দলের সব তথ্য। যার মূল থিম, দরকারে পাই, সরকারে চাই। তবে অতীত স্মরণ করিয়ে কটাক্ষও করছে বিরোধীরা। তাদের খোঁচা, এই সিপিএমই তো কম্পিউটারের বিরোধিতা করে বাংলার যুবসমাজের সর্বনাশ করেছিল! এখন সেই দলের নেতারাই ভার্চুয়াল প্রচারে নামছেন। 

আরও পড়ুন- Whatsapp করলেই বাড়ি এসে করোনা টেস্ট করবে কলকাতা পুরসভা, ঘোষণা ফিরহাদের

.