RSS ভোর থেকে কাজ করল, আপনারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোলেন, বিস্ফোরক Gautam Deb
পার্টির হাল দেখে কষ্ট পেয়েছেন। অকপট গৌতম দেব (Gautam Deb)।
মৌমিতা চক্রবর্তী: স্থান রাজারহাট। উপলক্ষ সিপিএম নেতার ঘরোয়া স্মরণসভা। তা কার্যত পর্যবসিত হল সিপিএমের আত্মসমালোচনায়। বক্তা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব (Gautam Deb)। পাশে বসে শুনলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)। ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দাওয়াই,'আশি বছরের নেতা দলকে আর কী দেবে? কম বয়সীদের জায়গা দিন আরও। বড় নেতা মানেই সে সামনের সারিতে বসবে এই মনোভাব পাল্টান।'
লকডাউন থেকে 'কমিউনিটি কিচেন', 'রেড ভলান্টিয়ার'-র মতো উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএম (CPM)। তা জনারণ্যে বাহবা পেলেও ইভিএমে প্রতিফলিত হয়নি। এতে কি আদৌ সংগঠনে লাভ হয়? অন্যদিকে, সাত সকালে প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু হয়ে যায় দিলীপ ঘোষের প্রচার। সঙ্ঘের শাখায় চলে প্রাত্যহিক কসরত। গৌতম দেবের (Gautam Deb) সোজাসাপ্টা বক্তব্য,'শুধু কমিউনিটি কিচেন করে ভোট আসবে ভেবেছিলেন? প্রতিবেশীর সঙ্গেই যাঁরা কথা বলেন না তাঁরা নেতা! আর কাজের লোকগুলোকে বসিয়ে দিলেন। আরএসএস ভোর থেকে কাজ করে গেল আর আপনারা নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোলেন। এককালে যাঁরা আমাদের জমি দিয়েছিল তাঁরা কেউ ভোট দেননি।'
পার্টির হাল দেখে কষ্ট পেয়েছেন। অকপট গৌতম দেব। তাঁর উপলব্ধি,'মানুষের অভিমান আমরা বুঝতেই পারিনি। ভুল সংশোধনের কোনও পদক্ষেপ করিনি। কাজের লোকেদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।' কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, তা-ও বাতলে দিয়েছেন। তাঁর নিদান,'আমরা গো-হারা হারলাম। কিন্তু রুখে দাঁড়াতে হবে। শুকনো বক্তৃতা দিলে চলবে না। গরিব মানুষদের বোঝান। কমবয়সী কমরেডরা আসছেন। তাঁদের জায়গা দিন। তাঁরাই ভবিষ্যৎ। চিনের লাইন নিয়ে চললে হবে না। বাংলায় আলাদা ব্যাপার। নতুন ছেলেদের সামনের সারিতে আনুন।' গৌতম দেবের কথা শুনলেন সূর্যকান্ত। বাস্তবে প্রয়োগ কি হবে?
আরও পড়ুন- I-Day:'আজাদি'র দিনে সমস্ত পার্টি অফিসে এই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে CPM