সংকটে বাম-কংগ্রেস জোট সম্ভাবনা, কংগ্রেসের 'আবদার' রাখল না আলিমুদ্দিন
গতবারের জেতা আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল সিপিএম।
মৌমিতা চক্রবর্তী
কংগ্রেসের আবদার রাখল না আলিমুদ্দিন। গতবারের জেতা আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল সিপিএম। তার জেরে বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যত্ নিয়ে তৈরি হল শঙ্কা। কারণ, ওই দুটি আসন ছাড়া জোট সম্ভব নয় বলে বারবার স্পষ্ট করেছেন সোমেন মিত্ররা। ২০১৪ সালে রায়গঞ্জে জিতেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম এবং মুর্শিদাবাদে জয়ী হন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। তাঁদেরই ফের প্রার্থী করেছে সিপিএম।
কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূলকে পরাস্ত করাই এখন লক্ষ্য বাম-কংগ্রেসের। আর শত্রু যখন এক, তখন বন্ধুত্ব স্বাভাবিক। তবে সিপিএম-কংগ্রেসের বন্ধুত্ব কি আদৌ জমাট বাঁধবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ। এদিন ওই দুটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে সিপিএম।
২০১৪-র লোকসভা ভোটে রাজ্যে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ জিতেছিল সিপিএম। কোনওভাবেই জেতা দুটি আসন ছাড়তে নারাজ ছিল তারা। কিন্তু ওই দুটি আসন তাদের চাই বলে জেদ ধরে রয়েছে কংগ্রেস। সোমেন মিত্ররা দাবি করে আসছেন, ওই দুটি তাদের এবার জেতার সম্ভাবনা বেশি। সিপিএম না ছাড়লে সমঝোতা হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন।
তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথ খোলা রেখেছেন বিমান বসু। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে প্রার্থী দেবে না সিপিএম। রুটি না কেক খাবে, সেটা কংগ্রেস ঠিক করুক।
আরও পড়ুন- সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল, বারাসতের বিজেপি প্রার্থী বিধাননগরের মেয়র?
বন্ধু শিবির থেকে হঠাত্ এমন বাউন্সার। রায়গঞ্জ -মুর্শিদাবাদ নিয়ে কী করবে কংগ্রেস? রাহুল গান্ধীর কোর্টেই বল ঠেলেছেন প্রদেশ নেতারা। সিপিএমের এমন পদক্ষেপের জেরে জোট অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।