শাসককে টেক্কা দিতে ব্রিগেড ভরানোর প্রস্তুতি শুরু বাম শিবিরে, ভরসা সেই উত্তর ২৪ পরগনা
শাসক দলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিগেডে সমাবেশ করবে বিরোধীরাও। ব্রিগেডের ময়দানে যুযুধান দুই শিবির কত লোক আনতে পারল তা নিয়ে সরগরম হবে রাজনীতি। সত্যিই কী ব্রিগেড সমাবেশে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া সম্ভব হবে বামেদের পক্ষে?
শাসক দলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিগেডে সমাবেশ করবে বিরোধীরাও। ব্রিগেডের ময়দানে যুযুধান দুই শিবির কত লোক আনতে পারল তা নিয়ে সরগরম হবে রাজনীতি। সত্যিই কী ব্রিগেড সমাবেশে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া সম্ভব হবে বামেদের পক্ষে?
৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে ৮ থেকে ১০ লক্ষ লোক আনার টার্গেট নিয়ে নামছে বামেরা। এই নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড ভরানোর মূল দায়িত্ব থাকছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ওপরই। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সবচেয়ে বড় ভরসা গৌতম দেব।
আলিমুদ্দিনের তরফে উত্তর ২৪ জেলাকে মাথা গুনে ৭৫ হাজার লোক আনার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। অবশ্য গৌতম দেবরা বলছেন কমপক্ষে দেড় লক্ষ লোক আনবেন তাঁরা। এই জেলার পর আলিমুদ্দিনের ভরসা কলকাতা। একলক্ষ ২৫ হাজার লোকের টার্গেট দেওয়া হয়েছে কলকাতা জেলার সিপিআইএম নেতাদের। ব্রিগেডের জন্য বড় জমায়েতের টার্গেট রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকেও। এই জেলার দলের সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন একলক্ষ লোক আসবে তাঁর জেলা থেকে। ব্রিগেডের আগে নিজের জেলাতে ৪০ টি জনসভার টার্গেট নিয়েছেন সুজন।
পুরভোটে প্রার্থী প্রত্যাহারের পর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের আস্থা হারায় বর্ধমান জেলার সিপিআইএম নেতৃত্ব। কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে বর্ধমান জেলায় বিরাট সমাবেশের পর আলিমুদ্দিনের আস্থা ফিরে পেতে শুরু করেছেন অমল হালদাররা। রাজ্যকমিটির বৈঠকে তাঁরা জানিয়েছেন একলক্ষ মানুষ বর্ধমান জেলা থেকে আনার টার্গেট রয়েছে তাঁদের।
হাওড়া ৫০ হাজার, হুগলি থেকে ৪০ হাজার লোক আনার টার্গেট রাখা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর থেকে কত লোক আসা সম্ভব তা এখনই নিশ্চিত নয়। দোসরা ফেব্রুয়ারি মেদিনীরপুর শহরে জনসভা করবেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই সভা থেকে কিছুটা আঁচ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।