২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নয়া চমক, তৃণমূলে যোগ দিলেন তিন কংগ্রেস ও এক সিপিআইএম বিধায়ক
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে আবারও চমক। ব্রিগেডে এই শহিদ দিবসের সমাবেশেই পাগলু ডান্সে নজর কেড়েছিলেন দেব। আর এবার একদিকে কংগ্রেসের তিনজন এবং অন্য দিকে সিপিআইএমের একজন বিধায়ককে সমাবেশ মঞ্চেই দলে টেনে চমক দিল তৃণমূল।
কলকাতা: তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে আবারও চমক। ব্রিগেডে এই শহিদ দিবসের সমাবেশেই পাগলু ডান্সে নজর কেড়েছিলেন দেব। আর এবার একদিকে কংগ্রেসের তিনজন এবং অন্য দিকে সিপিআইএমের একজন বিধায়ককে সমাবেশ মঞ্চেই দলে টেনে চমক দিল তৃণমূল।
আবার চমক। এবং নজিরবিহীনও। শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিলেন চার বিরোধী বিধায়ক। কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক, বীরভূমের হাসনের পাঁচবারের বিধায়ক অসিত মাল চলে এলেন তৃণমূলে। এলেন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপেখরের কংগ্রেস বিধায়ক গোলাম রব্বানি ও পুরুলিয়ার পারার বিধায়ক উমাপদ বাউড়ি। সিপিআইএমের ছায়ারানি দোলুইও যোগ দিলেন তৃণমূলে। সুশান্ত ঘোষের মত দাপুটে সিপিএম নেতার খাসতালুক চন্দ্রকোণার বিধায়ক তিনি। কেন এলেন?
শুধু কি উন্নয়ন? না কি অন্য কিছু? ঘটনা বলছে এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে আরও ছয় বিধায়ক এবং বাম শরিক দলগুলির আরও তিন বিধায়কও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। দলত্যাগের পুরস্কার হিসাবে কেউ সাংসদ, কেউ বা পেয়েছেন অন্য পদ।
হুমায়ুন কবীর (কংগ্রস) --- - মন্ত্রী করা হয়। হেরে যান উপনির্বাচনে।
কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী (কংগ্রেস)------ মন্ত্রী হয়েছেন
অজয় দে (কংগ্রেস)----- মঞ্জুষা-র চেয়ারম্যান।
সৌমিত্র খান (কংগ্রেস)-- সাংসদ এবং শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি।
সুশীল রায় (কংগ্রেস)------ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ইমানি বিশ্বাস (কংগ্রেস)------ জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্বে
দশরথ তিরকে (আর এস পি)--- সাংসদ হয়েছেন
সুনীল মণ্ডল (ফব) ------- উপনির্বাচনে ফের বিধায়ক
অনন্তদেব অধিকারী (আর এস পি)-- উপনির্বাচনে ফের বিধায়ক
জানা গেছে, তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী বিধায়কদের তালিকায় রয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের নাম। তাঁদের কতজনকে শেষমেশ ঠাঁই দেয় তৃণমূল, এখন সেটাই দেখার।