নিজেরটা বাড়িয়েছেন ১১ গুণ, গরিবদের বেতন বাড়াতে গায়ে ফোসকা পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর: সুজন
মোদী ও মমতা-কে এক সুতোয় বেঁধে বিঁধলেন সুজন চক্রবর্তী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বামেদের ধর্মঘটে মমতার বাধা, ফোঁস করে উঠলেন সুজন। বুধবার লালবাজার থেকে মুক্তি পেয়েই তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রীকেও। ‘দিদিভাই-মোদীভাই’ যোগাযোগের প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ তিনি করলেন, নরেন্দ্র মোদীকে সহযোগিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক প্রার্থী খুঁজছে তৃণমূল, খসছে একাধিক তারা!
ফেসবুক ভিডিয়ো-তে বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী চড়া সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “তিনি প্রমাণ করলেন, নরেন্দ্র মোদীর তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চাইতে বড় আর কোনও সাহয্যকারী নেই। দিলীপ ঘোষের চাইতে মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের বিজেপি সভানেত্রী হিসেবে বেশি কার্যকরী। এটা প্রমাণ করার জন্যই তিনি নরেন্দ্র মোদীর কাছে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তা না হলে, যে মহিলা নিজে নিজের বেতন ৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৮ হাজার টাকা করেছেন। ৭ বছরে ১১ গুণ বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। সেই মহিলা কীভাবে ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতনের দাবিতে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন? অসততা করছেন। নিজের বেতন বাড়িয়েছেন ১১ গুণ। কিন্তু অসংগঠিত শ্রমিক, গরিব মানুষের বেতন বাড়াতে গেলে মমতা ব্যানার্জির গায়ে ফোসকা পড়ছে। কেন তিনি আপত্তি করছেন?”
আরও পড়ুন- ক্ষমতা থাকলে ভোটে জিতে দেখাক, সৌমিত্রকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
এই একই প্রশ্নে সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নীতিরও বিরোধিতা শোনা যায় তাঁর গলায়। জেনারেল রিজারভেশন নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “মোদী যা বলছেন তার উল্টো পথে হাটছেন। ৮ লাখ টাকা আর্থিক রোজগার থাকলে রিজারভেশনের (মাসে ৬৬ হাজার টাকা বেতন) কথা বলছেন। আর তিনি ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মাসিক বেতনের দাবিতে বনধ সমর্থন করতে পারলেন না।” এরপরই মোদী ও মমতা-কে এক সুতোয় বেঁধে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “অপদার্থ আর সন্ত্রাসবাদীরা মিলে দেশ আর রাজ্য চালাচ্ছে। তবে এভাবে পার পাবে না। আরও মিছিল হবে। রাজ্যের মানুষ তৈরি, দেশের মানুষ তৈরি।”