Cow Smuggling: গোরুপাচার মামলায় এবার সিউড়ি ও বোলপুরের ৪ ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের
গোরুপাচার মামলায় গতকাল মুর্শিদাবাদের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম জেনারুল শেখ। বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বড় শিমুলিয়ায়। শনিবার বহরমপুর থেকে তাকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা
বিক্রম দাস: গোরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, গোরুপাচারের মাথা এনামুল হক এবং এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল সেখ। এবার ওই মামলার তদন্তে ডাক পড়ল সিউড়ি ও বোলপুরের ৪ ব্যাঙ্ক আধিকারিকের। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে বোলপুরের এক ব্যাঙ্কের শাখায় বিপুল টাকা জমা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তবে বীরভূম জেলা সভাপতির দাবি, ওই টাকা বৈধ নথিপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু এর বাইরেও অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস পাওয়া যাচ্ছে। অনুব্রত টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তা জানতেই ওই ৪ ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তলব করা হয়েছে বলে খবর। ওই ৪ জনকে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে আসতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-Cow Smuggling Case: গোরুপাচার-কাণ্ডে গ্রেফতার এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ
অনুব্রত মণ্ডল সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে করতে গিয়ে সিবিআই মনে করছে বীরভূম তৃণমূল সভাপতির বিপুল টাকা তাঁর ঘনিষ্ঠে ১০-১২ জনের কাছে রাখা হয়েছে। সেই তদন্ত করতে গিয়েই ৪টি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। ওইসব ব্যাঙ্কে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের অ্য়াকাউন্ট রয়েছে। ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে টাকার লেনদেনে বেশকিছু সন্দেহজন বিষয় থাকতে পারে। এমনকি গোরু পাচারের টাকা ওইসব অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে বলেই মনে করছে সিবিআই।
কিছুদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলের চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ডেন্ট মণীশ কোঠারির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআই। সেখানে অনুব্রতর বিনিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। মনে করা হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল তার ১০-১২ জন ঘনিষ্ঠের মাধ্যমে বিপুল টাকা অন্যত্র বিনিয়োগ করেছেন। তাই ওই ৪ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদের খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটাই সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।
এদিকে, গোরুপাচার মামলায় গতকাল মুর্শিদাবাদের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। ধৃতের নাম জেনারুল শেখ। বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার বড় শিমুলিয়ায়। শনিবার বহরমপুর থেকে তাকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। গোরুপাচার মামলায় এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। জেনারুল তার ঘনিষ্ঠ বলেই সিআইডির দাবি। এমনকী, এনামুলের অবর্তমানে গোরুপাচারের কারবার জেনারুল দেখতেন বলেই গোয়েন্দারা দাবি করেছেন। জেনারুলের পাচারের কায়দা নিয়েও রীতিমত তাজ্জব গোয়েন্দাদের একাংশ।
সূত্রের খবর, পাচারের পথে গোরু বাজেয়াপ্ত করা হতো। পরে সেগুলি তারা নিলাম করে বিক্রি করত। নিলাম থেকে গোরু কিনে সেগুলিকে ফের পাচার করত জেনারুল। বছর কয়েক আগে সে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সিআইডির দাবি, কাস্টমসের বদলে বিএসএফের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে জেনারুল। বিএসএফ যে গোরুগুলি পাচারের হাত থেকে আটকাত সেগুলি সরকারি খাতায় না দেখিয়ে জেনারুল পাচার করত। যদিও কোনও নির্দিষ্ট বিএসএফ কর্মীর নাম এখনও জানতে পারেনি সিআইডি। তবে তাদের একাংশের দাবি, জেনারুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে এই চক্রের বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করা হবে। পুলিসের কেউ জড়িত ছিল কিনা, তাও দেখা হবে।