এবার করোনা আক্রান্ত খোদ নাইসেড অধিকর্তা, রয়েছেন চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে
আরও ৩০ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতায় ক্রমশ চওড়া হয়েই চলেছে করোনার থাবা। এবার করোনা আক্রান্ত খোদ নাইসেড অধিকর্তা। একে একে সব জায়গাতেই থাবা বসাচ্ছে করোনা। এবার কোভিড-১৯ আক্রান্ত নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত এবং তাঁর আরও এক সহকর্মীর শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল তাঁর শরীরে। সোমবার রাতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। নাইসেড সূত্রের খবর, আরও ৩০ জন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতেই এই সিদ্ধান্ত। সবমিলিয়ে পূর্ব ভারতের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা ও পরীক্ষাকেন্দ্রের অধিকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্যভবন এখনও কিছু জানায়নি। প্রসঙ্গত, এরাজ্যে নোভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়েছিল এই ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেই। পূর্ব ভারতের অন্যতম নামী গবেষণা কেন্দ্র এই নাইসেড। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ল্যাবরেটরি প্রতিদিনই নিয়ম মেনে স্যানিটাইজ করা হয়। তারপরেও কীভাবে শীর্ষকর্তার সংক্রমণ হল তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, আজই শেষ হচ্ছে পঞ্চম দফার লকডাউন। আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে আনলক-২ পর্ব। তবে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ৩১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কলকাতাতেই করোনার সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগীরা এসে ভর্তি হওয়াতেই কলকাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতায় ইতিমধ্যেই ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেনও বহু জন। সাড়ে ৩০০-র উপর মানুষ কলকাতায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম নেই, কলকাতায় পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি ওলা-উবার চালকদের