সল্টলেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন স্বামী, খাটের ওপর সিঁদুরে রাঙা স্ত্রীর নিথর দেহ!
ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রীর দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সল্টলেকের শান্তিনগরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রীর দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য সল্টলেকের শান্তিনগরে।
পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী রঞ্জিত দাসের ফ্ল্যাট শান্তিনগরে। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিত দাসের ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আপাত নীরিহ, শান্ত পরিবারের সঙ্গে পাড়ার কারোরই কোনও সমস্যা ছিল না। ছেলে বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকত।
আরও পড়ুন: চিতাবাঘের মাংসে বনভোজন, ১০ লক্ষ টাকায় চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে ফাঁদে
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সোমবারই বাড়ি ফেরে রঞ্জিতবাবুর ছেলে। প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলেই বাবা ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খাটের ওপর পড়ে ছিল মায়ের দেহ। সে-ই নীচে এসে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। রঞ্জিতবাবুর স্ত্রীর কপালে সিঁদুর লেপা ছিল, হাতে ছিল আলতা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন র়ঞ্জিত। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে দুই মেয়ের নাম করে লেখা হয়েছে, “এই ফ্ল্যাটটা তোদের দিলাম। ভাইকে তোরা রাস্তায় ছেড়ে দিস। কোনও ভুল করলে ক্ষমা করে দিস।”
আরও পড়ুন: বেসরকারি হোটেলেই শাহ-র হেলিপ্যাড, জটিলতা শেষে প্রেস বিবৃতি রাজ্য বিজেপির
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ছেলের চিকিত্সা করাতে গিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন রঞ্জিত দাস। বেলেঘাটা জোড়ামন্দির এলাকায় তাঁর একটি সোনার দোকান ছিল। ছেলের চিকিত্সার টাকা জুগোতে তাঁকে সেই দোকানও বেঁচে দিতে হয়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। তা থেকেই এই ঘটনা কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস।