বাড়িতে অসুস্থ সন্তান; বাইরে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করে মিলল বেদম মার

বাড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সন্তান। বাইরে দেদার ফাটছে শব্দবাজি। প্রতিবাদ করেন অসহায় মা। কপালে জুটেছে শাসানি। পেটে পড়েছে লাথি। প্রত্যন্ত কোনও গ্রাম নয়। খাস কলকাতার বেলঘরিয়ার ঘটনা। হামলা শিকার কলকাতা পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার সোমা দাস ও তাঁর স্বামী তমাল দাস। 

Updated By: Nov 3, 2016, 11:15 PM IST
বাড়িতে অসুস্থ সন্তান; বাইরে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করে মিলল বেদম মার

ওয়েব ডেস্ক : বাড়িতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সন্তান। বাইরে দেদার ফাটছে শব্দবাজি। প্রতিবাদ করেন অসহায় মা। কপালে জুটেছে শাসানি। পেটে পড়েছে লাথি। প্রত্যন্ত কোনও গ্রাম নয়। খাস কলকাতার বেলঘরিয়ার ঘটনা। হামলা শিকার কলকাতা পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার সোমা দাস ও তাঁর স্বামী তমাল দাস। 

কালীপুজোর রাত। ঘড়ির কাঁটা তখন রাত দেড়টা ছুঁইছুঁই। ডেঙ্গি জ্বরে পুড়ছে তিনবছরের মেয়েটা। দিশেহারা দাস দম্পতি, বুঝতেই পারছিলেন কী করে সামাল দেওয়া যায়। এমন সময়ে, আচমকাই চকোলেট বোমার কান ফাটানো শব্দ।

আরও পড়ুন- ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টের প্রতিবাদ করে হেনস্থার শিকার তরুণী

CCTV-র ফুটেজ দেখে তমালবাবু বুঝতে পারেন বাজি ফাটিয়েছেন প্রতিবেশী পল্লব চ্যাটার্জির স্ত্রী।  পল্লবকে সেকথা বলতেই শুরু হয় হুমকি-শাসানির পালা। স্থানীয় আজাদ হিন্দ সংঘ ক্লাবে ডেকে পাঠানো হয় তমালবাবুকে। সেই সঙ্গে চলে বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ।

অসুস্থ সন্তানকে ফেলে ক্লাবে যেতে পারেননি তমালবাবু। তার ফল হয় মারাত্মক। রাত আটটা নাগাদ অভিযুক্ত মহিলার নেতৃত্বে তমালবাবুদের বাড়িতে চড়াও হয় ১০-১৫জন ।  কেন তিনি ক্লাবে যান নি, চাওয়া হয় জবাবদিহি। শুরু হয় শাসানির পালা। মারা হয় ওই মহিলার পেটে লাথি। না, এখানেই শেষ নয়। দাদাগিরির ক্লাইম্যাক্স পড়ে রাত সোওয়া নটায়। বাড়িতে ঢুকে সোমাদেবীর পেটে লাথি মারে পাড়ারই কয়েকজন যুবক।

অসুস্থ সন্তানের জন্য শব্দবাজির প্রতিবাদ করে এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে কল্পনাও করেননি পেশায় শিক্ষক তমালবাবু। এখনও চলছে লাগাতার হুমকি। অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে দিন কাটছে সোমাদেবীর। আর হতভম্ব তমালবাবু বুঝতে চাইছেন, প্রতিবাদ করা কী তবে অন্যায়?

.