আপাতত স্বস্তি, আক্রান্ত যুবকের মা-বাবা ও গাড়ির চালকের রিপোর্টে নেই করোনা

রবিবার ইংল্যান্ড থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন ওই তরুণ। এরপর নিয়ম ভেঙে মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিংমলে। 

Updated By: Mar 18, 2020, 10:25 PM IST
আপাতত স্বস্তি, আক্রান্ত যুবকের মা-বাবা ও গাড়ির চালকের রিপোর্টে নেই করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদন: আপাতত স্বস্তি। করোনা আক্রান্ত তরুণের মা-বাবা ও গাড়ির চালকের নমুনা পরীক্ষায় এখনও ভাইরাস মেলেনি। ৫টির মধ্যে ৪টি পরীক্ষার ফল নেগেটিভ। অর্থাত্ ভাইরাসের উপস্থিতি নেই তাঁদের শরীরে।

রবিবার ইংল্যান্ড থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরেছিলেন ওই তরুণ। এরপর নিয়ম ভেঙে মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। গিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিংমলে। সরকারি আমলা মায়ের সঙ্গে ওই তরুণ গিয়েছিলেন নবান্নে। বাবা সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক। গতকাল, মঙ্গলবার পর্যন্তও রোগী দেখেছেন। ফলে উত্কণ্ঠা বেড়েছিল। মা, বাবা ও গাড়ির চালককে পাঠানো হয়েছিল কোয়ারেন্টাইনে। তাঁদের শরীর থেকে সাতটি নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় SSKM ও NICED-এ(National Institute of Cholera and Enteric Diseases)। এসএসকেএমে পাঠানো হয়েছিল ২টি। নাইসেডে ( National Institute of Cholera and Enteric Diseases) ৫টি নমুনার রিপোর্টের মধ্যে চারটিতেই ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। ফলে আপাতত উত্কণ্ঠার কোনও কারণ নেই। তবে এসএসকেএমের দুটি ও নাইসেডের একটি নমুনা রিপোর্ট আসা এখনও বাকি।   

ওই আমলার পরিবারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মায়ের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসক দেখান তিনি। সেখান থেকেও তাঁকেও বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তরুণ সাফ জানায়, "আমি ভর্তি হব না।" এরপরই মায়ের সঙ্গে নবান্নে আসেন ওই তরুণ। নবান্নে ঘোরাফেরা করেন। এমনকি তারপর মায়ের সঙ্গে মহাকরণেও যান। জানা যাচ্ছে, তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে ওই তরুণ শপিং মলে যান। পাশাপাশি, আরও জানা যাচ্ছে পার্ক স্ট্রিটের একটি ক্লাবেও গিয়েছিল ওই তরুণ। তারপর আবাসনে ফিরে ফের ওই তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে একদফা আড্ডা মারেন। বাবা শিশুবিশেষজ্ঞ সরকারি হাসপাতালে রোগীও দেখেছেন। 

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এদিন বলেন,''উপসর্গ নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ঘুরে বেড়ালেন। এর চেয়ে অবিবেচকের কাজ কিছু হতে পারে না। একটা জায়গা থেকে আসছি, সেখানে রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। আমি কেন নিজেকে আইসোলেট করে রাখব না? ভিভিআইপি থেকে এলএলআইপি সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ডাক্তার বলা সত্ত্বেও দেরি করেছে। এখানে ওখানে ঘুরে বেরিয়েছে, তার মানে কত লোকের সংস্পর্শে এসেছে। বন্যা হলে সবার বাড়িতে জল ঢোকে।''

আরও পড়ুন- বিদেশ থেকে প্রায় ৯৫ হাজার মানুষ এসেছেন শহরে, বিধি মেনে চলার বার্তা মমতার

.