করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজের দাবি করবে রাজ্য, সিদ্ধান্ত সর্বদল বৈঠকে
বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, অশোক ঘোষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দিক কেন্দ্র। নবান্নে সর্বদল বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে মোরাটোরিয়ামের আবেদন রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে কোয়ারেন্টারাইন সেন্টার বাড়ানোর প্রস্তুতিও সেরে রাখছে রাজ্য।
রাজনীতি নয়। করোনা বিপদ মোকাবিলায় লড়তে হবে একজোট হয়ে। নবান্নে সবর্দল বৈঠকের শুরুতেই সুরটা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-চায়ের দোকানে আড্ডা? এলাকায় অবাধ বিচরণ? জানুন লকডাউন অমান্যে শাস্তি কী
বড় কোনও ঘটনা নিয়ে সর্বদল ডাকেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বরাবরের অভিযোগ বিরোধীদের। করোনা হানার পর কিন্তু, সবাইকে নিয়েই মোকাবিলার ব্লুপ্রিন্ট সাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব আছে এমন সব দলকে নিয়ে পর্যালোচনা করলেন করোনা পরিস্থিতি।
রাজ্য জুড়ে লকডাউন।এমন পরিস্থিতিতে প্রবল সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমিক শ্রেণি। তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দাবি তুললেন সুজন চক্রবর্তী। সূর্যকান্ত মিশ্র নিজে চিকিত্সক। করোনা পরীক্ষায় বিশেষ এক ধরনের যন্ত্রের পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য। বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য, অশোক ঘোষ। সকলেই নিজের মতামত রাখেন।
আরও পড়ুন-Live: হিমাচলে ফের করোনার গ্রাসে ১, ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের দাবি করবে রাজ্য।
কেন্দ্রকে যে ঋণ শোধ করতে হয়, আপাতত তা তিনমাসের জন্য স্থগিত রাখা হোক।
করোনার চিকিত্সা করছেন, এমন ডাক্তার, নার্সদের হাসপাতালের কাছাকাছি গেস্ট হাউসে রাখার বন্দোবস্ত
কেন্দ্রের কাছে আয়কর পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি।
কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করার জন্য আপাতত সব বিয়েবাড়ি ও অনুষ্ঠান বাড়ি নিয়ে রাখবে রাজ্য।
উত্তরবঙ্গ স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা হচ্ছে।
সোমবার থেকে শুরু লকডাউন। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন বিপদ বুঝে বাড়িতে থাকুন।