রাজ্যে তৃতীয়বার করোনার থাবা, সংক্রমণ নিয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি তরুণী
গতকাল রাতে রোগীর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। বাড়ির লোককে পর্যবেক্ষণে রেখে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ফের করোনার থাবা। এবার করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল হাবড়ার এক ছাত্রীর শরীরে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি স্কটল্যান্ড থেকে ফিরেছেন তিনি। গতকাল উপসর্গ দেখা দেওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে যান তিনি। সেখান থেকে বেলেঘাটা আইডি-তে রেফার করা হয় তাঁকে। সন্ধে নাগাদ রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই আইসোলেশন কেবিনে ভর্তি করানো হয় ছাত্রীকে। আপাতত বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। বাড়ির লোককে পর্যবেক্ষণে রেখে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কটল্যান্ড থেকে ফেরার পর আক্রান্ত ছাত্রী কী কোয়ারেন্টিনে ছিলেন? যদি না থাকেন তবে কাদের সংস্পর্শে ছিলেন, তার খোঁজ করছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্কটল্যান্ড ফেরৎ ছাত্রীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার অব বিজনেসের পড়ুয়া ওই ছাত্রী। স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডে করোনার ছড়িয়ে পড়তেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এডিনবরা থেকে সরাসরি দেশে ফেরার বিমান মেলেনি। ওই ছাত্রী এডিনবরা থেকে লন্ডনে আসেন। ১৮ মার্চ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান বিএ-১৩৫ ফ্লাইটে লাহোর হয়ে ১৯ মার্চ মুম্বই পৌঁছয়। তারপরই কলকাতায়।
আরও পড়ুন: জ্বর নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছিলেন, করোনা সন্দেহে বাড়ি থেকে 'পাকড়াও' রোগী
সবমিলিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩। পঞ্চসায়র, বালিগঞ্জের পর এবার হাবড়া। দিন কয়েক আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন পঞ্চসায়রের ওই তরুণ। এরপরই তাঁকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেপরোয়া হয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে বেলেঘাটাতে ভর্তি করা হয়। এরপরই সামনে আসে গতকালের ঘটনা। সংক্রমণ ধরা পড়ে বালিগঞ্জের এক বাসিন্দার শরীরে। জানা যায়, সেও লন্ডন থেকেই দেশে ফিরেছিলেন। এরপরই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় স্যানিটাইজেশনের কাজ। পর্যপক্ষণে রাখা হয়েছে এই দুই আক্রান্তের পরিবারকে। এলাকাতেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে কার্যত লাফিয়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়বে ঝুকি। করোনার স্টেজ থ্রি-তে পৌঁছবে দেশ। সেসব দিক মাথায় রেখেই একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।