এখনও চূড়ান্ত হয়নি প্রার্থী তালিকা, তার আগেই গোষ্ঠী কোন্দলের কবলে কংগ্রেস

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা শহরের কংগ্রেস সভাপতি তাপস মজুমদার। তিনি নিজে দমদম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। কিন্তু এই কেন্দ্রে এআইসিসি ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করতে চায়। ফলে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করা হলে জেলা কমিটি তার হয়ে প্রচারে কতটা ঝাঁপাবে তানিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

Updated By: Mar 14, 2014, 08:46 PM IST

চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ কংগ্রেস। বেশকিছু জেলাতেই চরমে উঠেছে গোষ্ঠী লড়াই।প্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে না পারায় তালিকা চূড়ান্ত করতে পারছে না এআইসিসি। মাস দেড়েক আগেই প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছেন অধীর চৌধুরী। দায়িত্ব নিয়েই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন সব নেতাকেই লড়তে হবে। কিন্তু তখনকার মতো মেনে নিলেও পরে বেঁকে বসেছেন একাধিক নেতা। ল়ড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, মানস ভুইঞাঁরা। ফলে প্রথম দফাতেই ধাক্কা খেতে হয়েছে কংগ্রেসকে। দ্বিতীয় ধাক্কা প্রার্থীদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই। ক্ষোভ, বিক্ষোভ দল ছাড়ার হুমকি একেবারে চরমে উঠেছে।

হুগলি জেলা বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে একমাত্র একমাত্র আব্দুল মান্নান যিনি শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে লড়তে রাজি হয়েছেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে হুগলি কেন্দ্র প্রার্থী বাছাইকে ঘিরে। ওই কেন্দ্রে এআইসিসি-র তালিকায় যার নাম রয়েছে তাকে কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ আব্দুল মান্নান। প্রয়োজনে দল ছাড়ারও হুমকি দিয়েছেন তিনি। উত্তর চব্বিশ পরগনায় বিরোধ আরও তীব্র। উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীণ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অসিত মজুমদার বসিরহাট প্রার্থী নির্বাচন ঘিরে অসন্তুষ্ট। আব্দুল গফরের ছেলে প্রার্থী হলে তিনি সভাপতি পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা শহরের কংগ্রেস সভাপতি তাপস মজুমদার। তিনি নিজে দমদম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। কিন্তু এই কেন্দ্রে এআইসিসি ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করতে চায়। ফলে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করা হলে জেলা কমিটি তার হয়ে প্রচারে কতটা ঝাঁপাবে তানিয়েও সন্দেহ রয়েছে। নদিয়াতেও প্রার্থী নির্বাচন ঘিরে মনোমালিন্যের কথা গোপণ নেই। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে ঘোর আপত্তি জেলার ডাকাবুকো নেতা শঙ্কর সিংয়ের। ফলে প্রার্থী বদল না হলে তিনি কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের হয়ে কতটা প্রচারে নামবেন তানিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

এমনিতেই দশবছর পর একক শক্তিতে লড়াই করতে গিয়ে রীতিমতো জেরবার কংগ্রেস। বিয়াল্লিশটি আসনে লড়াইয়ের মতো প্রার্থী খুঁজতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে অধীর চৌধুরীকে। তারমধ্যে এত নেতার ক্ষোভ। সব কাটিয়ে কীভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে সেটাই এখন দেখার

.