ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে পথে নেমেও একুশে জুলাই একেবারে মন্দ গেল না কংগ্রেসের
বছর ঘুরলেই ভোট। তাই ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েও, একুশে জুলাই পথে নামল কংগ্রেস। পুলিসের বাধা অগ্রাহ্য করে, মমতার খাসতালুক হাজরা মোড়ে ম্যাটাডোরে সভা করলেন অধীর। সাইনবোর্ড তকমা ঝেড়ে ফেলে, অস্তিত্ব প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা ধরা পড়ল কংগ্রেসের বডি ল্যাঙ্গোয়েজে।
ওয়েব ডেস্ক: বছর ঘুরলেই ভোট। তাই ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েও, একুশে জুলাই পথে নামল কংগ্রেস। পুলিসের বাধা অগ্রাহ্য করে, মমতার খাসতালুক হাজরা মোড়ে ম্যাটাডোরে সভা করলেন অধীর। সাইনবোর্ড তকমা ঝেড়ে ফেলে, অস্তিত্ব প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা ধরা পড়ল কংগ্রেসের বডি ল্যাঙ্গোয়েজে।
একুশে জুলাই। আদতে যুব কংগ্রেসেরই দিন। কিন্তু বছরের পর বছর হয়ে চলেছে দ্য গ্র্যান্ড মমতা শো।
ভাল না লাগলেও এতদিন হজম করতে হোত প্রদেশ নেতাদের। কিন্তু এবারের একুশে জুলাইটা বড্ড ভাইটাল। বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। দল ভাঙতে ভাঙতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল ফেরাতে তাই এই দিনটাকেই বেছে নিয়েছিলেন প্রদেশ নেতারা।
পুলিস অনুমতি দেয়নি। তবু ঠিক হয়, মমতার খাসতালুক হাজরা মোড়েই সভা করবে কংগ্রেস। কিন্তু শেষপর্যন্ত অনুমতি না পেয়ে বদলানো হয় সভাস্থল। ঠিক হয়, প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়েই হবে শহিদ স্মরণ। তাতে বেজায় চটে যান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত হয় হাজরা মোড়েই সভা করবে কংগ্রেস। ধর্মতলায় তৃণমূল নেত্রী র বক্তৃতা যখন শেষ লগ্নে, তখন যদুবাবুর বাজার থেকে মিছিল শুরু করে কংগ্রেস।
ভবানীপুর থানার সামনে মিছিল আটকায় পুলিস। বাধা অগ্রাহ্য করে হাজরা মোড়ে পৌছয় মিছিল। পুলিস মঞ্চ বাঁধতে না দেওয়ায় ম্যাটাডরে দাঁড়িয়েই বক্তৃতা করেন প্রদেশ সভাপতি।
কংগ্রেসের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ দিনে গুরুত্ব জাহিরে সফল তাঁরা। কাঁটা রয়ে গেল একটাই। এমন চ্যালেঞ্জের মিছিলে, প্রদেশ সভাপতি ছাড়া আর কোনও কংগ্রেস নেতাকে সেভাবে দেখা গেল না তো!