রাজ্যসভা ভোটের জন্য মনোনয়ন তুলল কংগ্রেস
রাজ্যসভার মনোনয়নকে সামনে রেখে কংগ্রেসের এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘাত ফের প্রকাশ্যে। শনিবার রাজ্যসভা ভোটের চতুর্থ আসনের জন্য মনোনয়ন তুললেন কংগ্রেস নেত্রী শুভ্রা ঘোষ। শনিবারই ছিল মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন। রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না, সে ব্যাপারে এদিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
রাজ্যসভার মনোনয়নকে সামনে রেখে কংগ্রেসের এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘাত ফের প্রকাশ্যে। শনিবার রাজ্যসভা ভোটের চতুর্থ আসনের জন্য মনোনয়ন তুললেন কংগ্রেস নেত্রী শুভ্রা ঘোষ। শনিবারই ছিল মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন। রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না, সে ব্যাপারে এদিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
কংগ্রেসের দাবিকে কার্যত আমল না-দিয়ে, শুক্রবার চারটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় এবং ৩ জন সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব- কুণাল ঘোষ, মহম্মদ নাদিমুল আকবর এবং বিবেক গুপ্তার নাম রয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার রাতে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঁচটি আসন রয়েছে। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের ৩টি ও বামেদের একটি আসন পাওয়ার কথা। গোল বেঁধেছে চতুর্থ আসনটি নিয়ে। তিন জনকে নির্বাচিত করার পর চতুর্থ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রয়োজনীয় ৪৯টি ভোট তৃণমূলের হাতে নেই। বরং ৩টি আসনের প্রার্থীদের জেতানোর পর তৃণমূলের হাতে থাকা অতিরিক্ত ভোটের তুলনায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা বেশি। ফলে ওই আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করতে মহাকরণে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা সাকিল আহমেদ। কিন্তু তাঁকে নিরাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সোনিয়া গান্ধীকে প্রদীপ ভট্টাচার্যের আর্জি, একটি আসনে কংগ্রেসকে প্রার্থী দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা জোট রাজনীতির ক্ষেত্রে অশুভ ইঙ্গিত। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে একই অনুরোধ জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদও। কিন্তু কংগ্রেসের সমস্ত অনুরোধ-আর্জিকে দুরে সরিয়ে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রণব মুখার্জির আত্মীয়া শুভ্রা ঘোষকে প্রার্থী করে কংগ্রেস আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটবে কি না, তা এখন সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।