Saradha Scam: সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর নাম, সিবিআইকে পাঠাচ্ছে আদালত
Saradha Scam: বুধবার সিএমএম আদালতে আসেন কুণাল ঘোষ ও তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তাঁরা যেটা জানালেন তা হল জেল থেকে লেখা সুদীপ্ত সেনের লেখা শেষ চিঠিতে তাঁর বক্তব্য ছিল কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি নির্মাণের জন্য তাঁর কাছে থেকে ৫০ লক্ষ টাকার একটি ড্রাফট নেওয়া হয়েছিল
পিয়ালি মিত্র: জেল থেকে লেখা সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে ছিল কাঁথি পুরসভার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। সুদীপ্ত সেন অভিযোগ করেছিলেন, একটি নির্মাণ করার জন্য কাঁথি পুরসভা তাঁর কাছে থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই চিঠিতে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। এবার সেই চিঠিই সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। এমনটাই দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। ওই চিঠি নিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-জাতীয় শিক্ষানীতি পুরোপুরি না মানলেও এ বছরই রাজ্যে চালু ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স
ওই চিঠি নিয়ে কুণাল ঘাষ বলেন, কোনও জেলবন্দির চিঠি নিয়ে যত এতকিছু হয় তাহলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনও একটি চিঠি আদালতে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী ও অধিকারী ব্রাদার্স তাঁকে কীভাবে শোষণ করেছে, ব্ল্যাকমেইল করেছে, তোলবাজি করেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে কাঁথি পুরসভায় এক্চিয়ার বহির্ভূত অনুমোদনের আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ড্রাফট নেওয়া হয়েছে। এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ক্যাশ নেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাঙ্ক ড্রাফট মানে সেটাতো নথি। সেটা তো থাকবে। সেটা কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে না। আজকে শুনানির পর সারদা কর্তার চিঠি, কাঁথি পুরসসভায় ব্যাঙ্ক ড্রাফট এবং নগদের বিষয়টি তদন্তের জন্য সিএমএম সিবিআইয়ের কাছে চিঠিটা পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
বুধবার সিএমএম আদালতে আসেন কুণাল ঘোষ ও তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তাঁরা যেটা জানালেন তা হল জেল থেকে লেখা সুদীপ্ত সেনের লেখা শেষ চিঠিতে তাঁর বক্তব্য ছিল কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি নির্মাণের জন্য তাঁর কাছে থেকে ৫০ লক্ষ টাকার একটি ড্রাফট নেওয়া হয়েছিল এবং নগদও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেই চিঠিত উল্লেখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। এনিয়ে কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতে তিনি আবেদন করেন, ওই চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য দেওয়া হোক। কারণ সিবিআই সারদা মামলার তদন্ত হচ্ছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ ও অয়ন চক্রবর্তী।