"আপনাদের ধরে চাবকানো উচিত"
গাড়ি আসতে দেরি হয়েছিল। তাই বইমেলায় সবার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়লেন কলকাতা পুলিসের বিশেষ বিভাগের সার্জেন্ট কুসুমকুমার দ্বিবেদী। ধমক দিলেন গাড়ির চালককেও। দেরিতে গাড়ি আসায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীকে বললেন, "আপনাদের ধরে চাবকানো উচিত।" মন্ত্রী, একাধিক তৃণমূল নেতা ও বেশ কিছু সাধারণ মানুষের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সুতীব্র ভর্ৎসনায় দৃশ্যতই থতমত পুলিস মহল।
গাড়ি আসতে দেরি হয়েছিল। তাই বইমেলায় সবার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়লেন কলকাতা পুলিসের বিশেষ বিভাগের সার্জেন্ট কুসুমকুমার দ্বিবেদী। ধমক দিলেন গাড়ির চালককেও।
দেরিতে গাড়ি আসায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীকে বললেন, "আপনাদের ধরে চাবকানো উচিত।" মন্ত্রী, একাধিক তৃণমূল নেতা ও বেশ কিছু সাধারণ মানুষের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সুতীব্র ভর্ৎসনায় দৃশ্যতই থতমত পুলিস মহল।
জাগো বাংলা স্টলে নিজের লেখা বইপ্রকাশ করতে বইমেলায় যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর জাগো বাংলা স্টল ঘুরে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিড়ে ঠাসা বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীকে এতো কাছে পেয়ে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। চলে সইয়ের আবদার।
জনস্রোত পেরিয়ে স্টল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তখন এক নম্বর গেটের কাছে। কিন্তু, তখনও এসে পৌঁছয়নি তাঁর গাড়ি। আর তাতেই রেগে আগুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিবছরই বইমেলার বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে গাড়ি। এবারও ছিল সেই বন্দোবস্তই। ভিড় ঠেলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এক নম্বর গেটে পৌঁছতে দেরি করে ফেলে। আর তাতেই মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। যাবতীয় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিসের সার্জেন্ট কে কে দ্বিবেদীর ওপর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে শীর্ষে থাকা মন্ত্রী প্রকাশ্যে অধস্তনের উদ্দেশে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করলে পুলিসের মনোবল কোনঠাসা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।