কালো পতাকার বিক্ষোভের 'জবাব', প্রেসির জন্য ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

"১১৮ কোটি টাকায় ক্যাম্পাস হবে প্রেসিডেন্সির। ৩০ কোটি টাকা এখনই হ্যান্ড ওভার করছি। আমি সঙ্গে নিয়ে এসছি", প্রেসিডেন্সিতে কালো পতাকার জবাবে 'উন্নয়নের' এই বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের ১২৫ তম প্রতিষ্টা দিবসে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরজিও হলে ক্যাম্পাসের উন্নয়নে ১১৮ কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রেসিডেন্সির লাইব্রেরি উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

Updated By: Aug 21, 2015, 07:37 PM IST
কালো পতাকার বিক্ষোভের 'জবাব', প্রেসির জন্য ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: "১১৮ কোটি টাকায় ক্যাম্পাস হবে প্রেসিডেন্সির। ৩০ কোটি টাকা এখনই হ্যান্ড ওভার করছি। আমি সঙ্গে নিয়ে এসছি", প্রেসিডেন্সিতে কালো পতাকার জবাবে 'উন্নয়নের' এই বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের ১২৫ তম প্রতিষ্টা দিবসে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরজিও হলে ক্যাম্পাসের উন্নয়নে ১১৮ কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রেসিডেন্সির লাইব্রেরি উন্নয়নের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ আন্দোলনে মুখোরিত ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাস। ২০১৩ সালে বেকার ল্যাব ভাঙচুরের ঘটনাকে সামনে রেখে পোস্টার, স্লোগানে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। মেন গেট দিয়ে ঢুকতে গেলে ছাত্র বিক্ষোভের সম্মুখীন হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখায় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। এই ঘটনার পরও ডিরজিও হলে ঢুকেই ভিন্ন মেজাজে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বিক্ষোভের পাল্টা উন্নয়নমুখী ঘোষণায় ছাত্রছাত্রীদের হাততালি কুড়িয়ে নিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। অল্পসময়ের বক্তৃতায় রাগের লেশ মাত্র দেখা গেল না। বরং মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর করতালিতে গমগম করছিল গোটা হলঘর।   
 
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "২০১৭ তে ২০০ বছর পূর্ণ হবে প্রেসিডেন্সির। আমদের অনেক কাজ করতে হবে। আমরা একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করব"। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমাকে সবার পছন্দ হবে, এটা মেনে নেওয়া ঠিক নয়। আমি কেন এখানে আসব, তার কৈফিয়ত দিতে হবে? পারমিশন নিতে হবে? আমার মাতৃভূমি, স্নেহভূমি, কর্মভূমিতে আমি আসতে পারি। আমি চাই সবাই ডিসিপ্লিন মেনে চলুক। আমিও ডিসিপ্লিন মেনে চলি"।

অনুষ্ঠান শেষ হবার পর মুখ্যমন্ত্রী যখন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে আসছিলেন, সেই সময়ও তাঁকে দেখে বিক্ষোভ দেখায়  দেখায় পড়ুয়ারা।

 

.