Mamata Banerjee: পুজোর আগেই চাকরি! ৩০ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের সাফল্য। কারগরি শিক্ষা দফতরের অধীনে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের সাফল্য। পুজোর আগেই আরও ৩০ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায়? বৃহস্পতিবার খড়গপুরে নিয়োগপত্র পাবেন ৭ হাজার কর্মপ্রার্থী। ২০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরে আর ২১ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে বাকিদের। সূত্রের খবর তেমনই।
জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন বিজেপি নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতা ও হাওড়া, সেদিন খড়গপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের সদস্য়দের সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন দুই মেদিনীপুরের তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রীও। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গও ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপির মিছিলে লোক হয়নি। ওদের বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই'।
আগামীকাল, বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায়? নিমতৌড়িতে। এরপর সেদিনই আবার যাবেন খড়গপুরে। বৃহস্পতিবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে 'জব ফেয়ার' উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠান ৭ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। কারা চাকরি পেলেন? উৎকর্ষ বাংলার প্রকল্পে কারগরি শিক্ষা দফতরের অধীনে যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁরা।
আরও পড়ুন: BJP Nabanna Abhiyan: বিজেপির গুন্ডাদের তাণ্ডব দেখল গোটা দেশ, ক্ষমতায় এলে কী করবে এরা! সরব অভিষেক
এর আগে, সোমবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ১০ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। মমতা বলেন, 'ক্ষমতা আসার আগেই স্বপ্ন দেখেছিলাম বাংলা একদিন বিশ্বসেরা হবে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, কন্যাশ্রীতে ইউনাইটেড নেশনের পুরস্কার আমরাই পেয়েছি। কন্যাশ্রী আমাদের গর্বের। কয়েক দিন আগে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও একটা খেতাব আমাদের ঘরে এসেছে। বাংলাকে কালচারাল ডেস্টিনেশন হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ এর জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে। ওই পুরস্কার নিতে আমি যাব। নিম্নস্তরের যে শিক্ষা তাতে বাংলা দেশে প্রথম হয়েছে'। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘গোটা ভারতে বিভিন্ন ট্রেডে ২১ জন শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। যার মধ্যে ৯ জন বাংলার'।
রাজ্যে কর্মসংস্থান লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ফ্রেরুয়ারিতে এই ‘উৎকর্ষ বাংলা’ চালু হয়। এই প্রকল্পে যেসব যুবক-যুবতী প্রথাগত কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাননি, তাঁদের জন্য বিকল্প প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য় সরকার। শুধু তাই নয়, সেই প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন বেসরকারি চাকরিও পেয়েছেন অনেকেই। কতজন? ৩০ হাজার ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।