শহরে জল 'বিপর্যয়', মেয়র শোভনকে ফোন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের ফেজ ওয়ানের একটি পাম্পের ভালভ ফেটে ২০ ফুট জলের তলায় চলে যায় গোটা স্টেশন এলাকা।

Updated By: Mar 25, 2018, 02:50 PM IST
শহরে জল 'বিপর্যয়', মেয়র শোভনকে ফোন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : গার্ডেনরিচে পাম্প বিভ্রাটে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে খোঁজ নিলেন গোটা পরিস্থিতির। পাম্প বিভ্রাটের জেরে জল সরবরাহের ব্যাপারে এদিন খোঁজ খবর নেন তিনি। একইসঙ্গে গরমে যাতে মানুষের জলকষ্ট না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার রাতে গার্ডেনরিচ পাম্পিং স্টেশনের ফেজ ওয়ানের একটি পাম্পের ভালভ ফেটে যায়। ২০ ফুট জলের তলায় চলে যায় পাম্পিং স্টেশন। শট সার্কিটের জেরে অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা স্টেশন এলাকা। রাতে সারাইয়ে কাজ শুরু করে পুরসভা, নামানো হয় ডুবুরি। প্রথমে পাম্পের ভালভ বন্ধ করে জল বেরিয়ে যাওয়ার পথ আটকানো হয়। তারপর সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে জল বের করা শুরু হয়।

আরও পড়ুন, "রাম নিয়েই রাজনীতি করব, ক্ষমতা থাকলে আটকাক," তলোয়ার হাতে আস্ফালন দিলীপের

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, গত ৩০-৩৫ বছরের শহরের ইতিহাসে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা 'বিপর্যয়'। তবে অত্যন্ত দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুরকর্মী ও ইঞ্জিনিয়রদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মেয়র।

একইসঙ্গে জানান, রাতভর যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ করে যাঁরা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে পুরসভার পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। তবে বিপর্যয় কাটলেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মহানাগরিক।

আরও পড়ুন, যান্ত্রিক বিভ্রাট গার্ডেনরিচে, জলসঙ্কট দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায়  

উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ককে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে 'কানন'-এর দূরত্ব বেড়েছে, এমন কানাঘুষোই শোনা যাচ্ছিল তৃণমূলের অন্দরে। এমনকি, মেয়রের পদ থেকেও তাঁকে ইস্তফা দিতে  হতে পারে বলে জল্পনা জারি হয়েছিল। যদিও ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে এসবই গুজব বলে দাবি করে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন স্বয়ং শোভনই। এরপর এদিন মেয়রকে শহরের জল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ফোন যথেষ্ট-ই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.