নিজের নিষেধাজ্ঞা নিজেই ভেঙে ধর্মতলায় সভা

সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলে ধর্মতলায় সভা করা যাবেনা। সরকারে এসে এমনই নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থানকে কার্যত নস্যাৎ করে শনিবার ধর্মতলার বুকে সভা করল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Updated By: Jan 19, 2013, 06:19 PM IST

সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলে ধর্মতলায় সভা করা যাবেনা। সরকারে এসে এমনই নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থানকে কার্যত নস্যাৎ করে শনিবার ধর্মতলার বুকে সভা করল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১১-র ১৬ সেপ্টেম্বর মহাকরণে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন ধর্মতলায় সভা করা যাবে না। বদলে রানি রাসমণি রোড, শহীদ মিনার বা গান্ধীমূর্তির পাদদেশ অথবা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সভা করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শনিবারের কলকাতা দেখল, নিজের কথা নিজেই ভাঙলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও ক্ষমতায় আসার ১৯ মাসের মাথায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ধর্মতলাকেই বেছে নিল তাঁর দল। শহরের চারটি জায়গা শিয়ালদহ, হাওড়া, হাজরা ও শ্যামবাজারে দুপুর দেড়টা নাগাদ জমায়েত করে দুপুর তিনটে নাগাদ ধর্মতলায় হল তৃণমূলের জমায়েত। মুখ্যমন্ত্রীর সাফাই, শনিবার ছুটির দিন বলেই ধর্মতলায় সভা করল তাঁর দল।
এই জমায়েতে কার্যত হুমকির সুরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন ইচ্ছে করলে সিপিআইএম নেতাদের প্রত্যেককে জেলে পুরে দিতে পারত রাজ্য সরকার। তা না করে বিরোধীদের প্রতি ভদ্রতা দেখিয়েছে শাসকদল।
ধর্মতলার প্রতিবাদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন, রাজ্যে বনধ, অবরোধের রাস্তায় হাঁটবে না তৃণমূল কংগ্রেস।

.