অসমে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে সিপিআইএম: মুখ্যমন্ত্রী
অসমের থেকে কোনও শরণার্থী এলে তাদের আশ্রয় দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁদের খাদ্যের সংস্থান করা সামাজিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অসমের থেকে কোনও শরণার্থী এলে তাদের আশ্রয় দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁদের খাদ্যের সংস্থান করা সামাজিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অসমের রাজনৈতিক দলগুলিকে হিংসায় মদত না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অসমে, জলপাইগুড়িতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর নামে সিপিআইএম হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
দিনকয়েক ধরেই অশান্ত অসম। অসমে সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অশান্ত এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্ল্যাগমার্চ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। নামানো হয়েছে ১৩ হাজার জওয়ানকে। টানা কয়েকদিনের সংঘর্ষের জেরে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া। ৪২ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ধুবরি, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, উদলপুরি জেলাতে। বুধবার কিছুক্ষণের জন্য ধুবরিতে কার্ফু তোলা হলেও ৪ টি দেহ উদ্ধারের পর নতুন করে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এদিকে অসমে লাগাতার হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বামফ্রন্ট। বুধবার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এ অসমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বিবৃতিতে বিমান বসু বলেছেন, অসম-বাংলা সীমানার এ রাজ্যের জেলাগুলিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিস ও আধা সেনা মোতায়েন করুক সরকার।পঞ্চাশহাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন। আশ্রয় হারিয়ে ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন শতসহস্র মানুষ। তাদের কেউ কেউ আবার সীমানা পেরিয়ে এরাজ্যে আসছেন আশ্রয়ের খোঁজে। এই পরিস্থিতিতে অসমের শরণার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।