নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে ভাঙচুর, আগুন, জখম
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে বদলে যেতেই উত্তর-পূর্বের সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যে অশান্তি। তার আঁচ এবার বাংলাতেও। কোথাও জাতীয় সড়ক অবরোধ। কোথাও আবার ট্রেন লাইন আগুন জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ।
NRC নিয়ে আতঙ্ক উদ্বেগ ছিলই। নাগরিকত্ব আইন লাগু হতেই, সেই উদ্বেগ বিক্ষোভের চেহারা নিয়ে নেমে এল রাস্তায়। উলুবেড়িয়া স্টেশনে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আটকে পড়ে করমণ্ডল ও কাণ্ডারী এক্সপ্রেস। ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে। যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, মুম্বই এক্সপ্রেস। আটকে পড়ে একের পর এক ট্রেন। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে জখম হন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক। বিক্ষিপ্ত অশান্তির জেরে হাওড়া সহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়ার খবর আসতে থাকে।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনেও ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ। বিক্ষোভকারীদের মারে আহন হন আরপিএফ কর্মী। বেলডাঙার বড়ুয়া মোড়ে চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। বহরমপুরের ভাকুড়ী মোড়েও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ। জেলার পাশাপাশি বিক্ষোভ প্রতিবাদ অবরোধের ছবি কলকাতাতেও। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান রাজ্যপাল। বলেন,''আমি সবাইকে হাতজোড় করে আবেদন করছি,শান্তি ভঙ্গ করবেন না। হিংসা থেকে দূরে থাকি। সংবিধানে ভরসা রাখা উচিত। সংসদের আইনে ভরসা রাখুন। এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইন মেনে চলুন। সকলকে করজোড়ে আবেদন করছি।''
শুক্রবার দিঘা থেকে ফিরেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জানান, উলুবেড়িয়া ও বেলডাঙায় দুটো ঘটনা ঘটেছে। রেল সাহায্য চেয়েছিল। পুলিস পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের পাশে আছি। কিন্তু কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেবেন না। শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখুন। সন্ধেয় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- দম থাকলে অমিত শাহের বাড়ির সামনে গিয়ে মস্তানি করুক: ফিরহাদ