হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন না ব্যবস্থা নেন? মমতাকে নিশানা নাড্ডার
বাংলায় ১৫ দিন ধরে হিংসা চলেছে। অথচ একটিবারও নিন্দা করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সভায় তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধলেন নাড্ডা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপির পদযাত্রা। ওই পদযাত্রায় বিপুল লোক এনে তাক লাগাল গেরুয়া শিবির। এমন ভিড় দেখে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি হুঁশিয়ারি দিলেন, লোকসভা ভোটে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি বিজেপিকে দিয়েছে বাংলার মানুষ। এটা ট্রেলার ছিল। এবার পিকচার দেখাবেন।
নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় টানা মিটিং-মিছিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় নাগরিকপঞ্জি কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন জেপি নাড্ডা বলেন,''হবে না, হবে না। সব কিছুরই বিরোধিতা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলাম। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এনেছেন নরেন্দ্র মোদী। চেয়েছিলেন, বাংলার গরিব মানুষরা যাতে প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, হবে না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে গুরুতর চিকিত্সার জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমা পান মানুষ। আপনার সুস্থতা কামনা করি। কারণ ২১-২২ সাল তো দেখতে হবে। আপনি বা আপনার আত্মীয় ইংল্যান্ড বা আমেরিকায় চিকিত্সা করিয়ে নেবে। গরিবদের কী হবে?''
নাড্ডা আরও বলেন,''বাংলায় ১৫ দিন ধরে হিংসা চলেছে। অথচ একটিবারও নিন্দা করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। আপনারাই বলুন, মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেন না আবেদন করেন?''
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সুবিধা বাংলার মতুয়া, রাজবংশী পাবেন বলে দাবি করে দেশভাগের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন নাড্ডা। বলেন,''ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছিল। ভারতের মুসলিমরা সমানাধিকার পেয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানে একটা সময় ২০ শতাংশ হিন্দু ছিলেন। তাঁরা কোথায় গেলেন? আফগানিস্তানে একসময় ৫০ হাজার শিখ ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২০০০। বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রকাশ কারাট। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আইন আনার পর ভিন্নসুরে কথা বলছেন। মতুয়া সমাজের বড় মা বীণাপানি দেবীর আর্শীবাদ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতুয়াদের স্বার্থ দেখছেন না উনি।''
এদিন বিজেপির সভায় ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। সেই ভিড় দেখে উত্সাহিত নাড্ডা বলেন,''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সংবিধান বিপদে। আসলে আপনি সংবিধানকে বিপদে ফেলছেন। ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি আপনারা বিজেপিকে দিয়েছেন। এটা ট্রেলার ছিল। এবার পিকচার দেখিয়ে দেবেন আপনারা। নেহাত ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপি বাংলায় আসতে চায় না। বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে জন্য চাই বিজেপিকে। মূলস্রোতে আনতে হবে রাজ্যকে।''
আরও পড়ুন- CAA-র সমর্থনে নাড্ডার নেতৃত্বে কলকাতায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় জনজোয়ার