১৭ জানুয়ারি মহানগরে সিআইআই-এর ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসছেন দেশের প্রথমসারির শিল্পপতিরা
১৭ জানুয়ারি কলকাতায় সিআইআই-এর ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার দু-বছর আট মাস পর এই প্রথম ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকের জন্য কলকাতাকে বেছে নিয়েছে বণিকসভা সিআইআই।
১৭ জানুয়ারি কলকাতায় সিআইআই-এর ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার দু-বছর আট মাস পর এই প্রথম ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকের জন্য কলকাতাকে বেছে নিয়েছে বণিকসভা সিআইআই।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত প্রতিবছরই সিআইআইয়ের ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল কলকাতায়। ২০১০-এর ছয়ই অক্টোবর কলকাতায় শেষ বৈঠকে যান ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর সিআইআইয়ের ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক কলকাতায় আর হয়নি।
যে রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে, রয়েছে সরকারের শিল্পবন্ধু ভাবমূর্তি, সেই রাজ্যকেই এই ধরনের সম্মেলনের জন্য সাধারণত বেছে নেয় সিআইআই। সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ের পর শিল্পমহলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি মোটেই ভাল ছিল না বলে বিশেষজ্ঞদের মত। আর সেই কারণেই সিআইআই-ও আর কলকাতায় ন্যাশনাল কাউন্সিলের বার্ষিক সম্মেলন করেনি বলে তাদের ধারণা। নতুন সরকারের দু-বছর আট মাসের মাথায় এই প্রথম কলকাতা টাউন হলে ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক করছে সিআইআই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে শিল্পায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ করতে পারেন বলে শিল্পমহলের ধারণা। যার প্রমাণ মিলেছে মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির সঙ্গে বৈঠকে। বিভিন্ন শিল্প সম্মেলন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে শিল্পপতিদের এ রাজ্যে বিনিয়োগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বনধ-ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ায় বণিকমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পস্থাপনের ছাড়পত্র দিতে এক জানলা ব্যবস্থা, প্রতিটি প্রকল্পের জন্য বেসরকারি সংস্থার ধাঁচে রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের মতো একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তিনি। সচরাচর শিল্প সম্মেলন এড়িয়ে চললেও গত নভেম্বরেই মিলনমেলায় সিআইআই-এর বিজ ব্রিজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
১৭ জানুয়ারি কলকাতায় সিআইআই-এর ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দেশের নামকরা শিল্পপতিরা। এ রাজ্যে বিনিয়োগ করলে কী সুবিধা মিলবে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সামনে তা তুলে ধরবেন।
নতুন সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বড় বিনিয়োগ সে ভাবে আসেনি। শিল্পমহল চাইলেও শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। শহরাঞ্চলে জমির উর্ধ্বসীমা আইন তুলে দেওয়ারও পক্ষপাতী নন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে বণিকসভা সিআইআই-এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন সে দিকে নজর শিল্পমহলের।
শিল্পমহলের কাছে কি রাজ্যের ভাবমূর্তি একটু একটু করে বদলাচ্ছে? নতুন সরকারের আমলে শিল্পে ইতিবাচক কিছু হয়নি। সিআইআই-এর শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করছে শিল্পমহল মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখছে।