মহাকরণের সামনে অবাধে শিশুশ্রম
যাবতীয় নিয়মকানুন, নৈতিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরের উল্টো দিকেই অবাধে চলছে শিশুশ্রম। মহাকরণের উল্টোদিকে লালদিঘি সংস্কারের কাজে লাগানো হয়েছে ১০-১১ বছরের ছেলেদের। বিবাদি বাগ অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থাকে কুড়ি বছরের জন্য লালদিঘি লিজে দিয়েছে মত্স্য দফতর।
যাবতীয় নিয়মকানুন, নৈতিকতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতরের উল্টো দিকেই অবাধে চলছে শিশুশ্রম। মহাকরণের উল্টোদিকে লালদিঘি সংস্কারের কাজে লাগানো হয়েছে ১০-১১ বছরের ছেলেদের। বিবাদি বাগ অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংস্থাকে কুড়ি বছরের জন্য লালদিঘি লিজে দিয়েছে মত্স্য দফতর। আগামী বছরের অগস্টে শেষ হচ্ছে লিজের মেয়াদ। সংস্থাকে জলে মাছ ছাড়া, দিঘি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, লালদিঘি পরিষ্কার করার জন্য তারাই কাজে লাগিয়েছে এলাকার ফুটপাথবাসী শিশুদের।
এর সঙ্গেই রয়েছে আরও এক বঞ্চনার ছবি। দিঘি সংস্কারে কর্মরত শিশুরা জানিয়েছে তাদের রোজ ৭০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। উল্টোদিকে নিয়োগকারী সংস্থা অ্যাঙ্গলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, দৈনিক ১০০ টাকা মজুরি দেওয়া হয় শিশুদের। মজুরিতে কেন এই ৩০ টাকার গরমিল, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সংস্থার বক্তব্য, রোজগারের সুযোগ পেয়ে হতদরিদ্র শিশুদের উপকারই হচ্ছে।
একদিকে শিশুর অধিকার সুরক্ষিত করতে বছর বছর ঘোষিত হচ্ছে নানা সরকারি প্রকল্প। শিক্ষার অধিকার আইনে তাদের স্কুলে পাঠানো বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের সামনেই দিনরাত অবাধে পরিশ্রম করে চলেছে শিশুশ্রমিকরা।