ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যু, ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিল না মেটালে দেহ দিতেও আপত্তি!
হুমকি দেওয়া হয় এই বলে যে, "টাকা না দিলে কী হবে বলা যাচ্ছে না।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : ই এম বাইপাসে ডিসানের পর এবার ভিআইপি রোডের ধারে স্পন্দন। বাগুইআটির বেসরকারি হাসপাতাল স্পন্দনের বিরুদ্ধে এবার চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
জানা গিয়েছে, বাইপাসের ধারে আনন্দপুর নোনাডাঙার বাসিন্দা কৌশিক চক্রবর্তীর স্ত্রী নিশা চক্রবর্তী গত ২৪ জুন স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের হৃদযন্ত্রে ফুটো ধরা পড়ে। এরপরই বাগুইআটি স্পন্দন হাসপাতালে ওই সন্তানকে রেফার করা হয়। পরিবারের লোকের অভিযোগ, স্পন্দন হাসপাতালে ওই শিশুর সেভাবে কোনও চিকিৎসাই হয়নি। অথচ আকাশছোঁয়া বিল করা হয়। আরও অভিযোগ, হাসপাতালের মার্কেটিং কর্মী শুভজিৎ দে বলেন, চিকিৎসা করতে গেলে প্রচুর টাকা লাগবে।
তাঁরা সেইমত বকেয়া ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার বিলও দেয়। কিন্তু তারপরেও সেভাবে চিকিৎসা হয়নি। অভিযোগ, এ বিষয়ে বলতে গেলে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয় বাড়ির লোককে। বলা হয়, মোট ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বিল হয়েছে। তাই বাকি টাকা দিতে হবে। এরপর গতকাল রাতে শুভজিৎ দে নামে ওই কর্মী টাকা জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। আরও অভিযোগ, হুমকি দেওয়া হয় এই বলে যে, "টাকা না দিলে কী হবে বলা যাচ্ছে না।"
তারপরই আজ সকালে ওই শিশুটির মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয় পরিবারকে। পুত্রসন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন বাড়ির লোক। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারপরও তাঁদের হেনস্থা করে। কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরো টাকা দিলে তবেই সন্তানের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা বাধে পরিবারের লোকেদের। এরপর শেষে আরও ২০ হাজার টাকা জমা নিয়ে হাসপাতাল থেকে দেহ ছাড়ে কর্তৃপক্ষ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্রে ফুটোর পাশাপাশি সদ্যোজাত ওই পুত্র সন্তানের ইনফেকশনও ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন, করোনায় প্রয়াত চিকিৎসক, হাসপাতালে বিল উঠেছে ১৯ লাখ! রিভিউয়ের আবেদন স্বাস্থ্য কমিশনের