Haridevpur Home: হরিদেবপুরের হোমে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেফতার ব্রাদার
অভিযোগ পেয়ে পুলিস হোমটিকে ঘিরে ফেলে। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসবাদের পর পুলিস যায় অরুণ জেভিয়ার্সেকে গ্রেফতার করতে। তখন হোমের কর্মীদের একাংশ তাতে বাধা দেয়
রণয় তেওয়ারি ও সন্দীপ প্রামাণিক: খাস কলকাতার এক হোমে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল হোমের দায়িত্বে থাকা ব্রাদারের বিরুদ্ধে। হোমের এক কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করল পুলিস। সেই খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি। হরিদেবপুরের আনন্দপল্লীর ওই হোমের কর্মী জি ২৪ ঘণ্টাকে জানালেন, ২০১৫ সালের পর থেকে এটা শুরু হয়েছে। ওই বছর একটি ঘটনা ঘটেছিল। হোমের ব্রাদারের সঙ্গে হোমের এক শিক্ষিকার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি হোমের আবাসিকদের সঙ্গেও একই কাজ করা হতো। এর প্রতিবাদ করে হোস্টেলের মেয়েরা। ওই ঘটনার পর ব্রাদার একটি বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে এক অভিযোগকারী মেয়েকে শাস্তি হিসেবে বাড়ি যেতে বলা হয়। মেয়েটি ছিল খুবই গরির পরিবারের। বাড়ি যেতে না পেরে সে আত্মঘাতী হয়।
আরও পড়ুন- আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত!
হোমের ওই কর্মী আরও বলেন, গত ২৪ অক্টোবর শনিবার একটি মেয়ে বাইরে থেকে আসে। তার সঙ্গে ব্রাদারকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় আমি দেখি। এর প্রতিবাদ করি। এর পরেই উনি আমাকে রুম খালি করে চলে যেতে বলেন। আমি ওকে বলি আমাকে কেন চলে যেতে বলা হচ্ছে তা লিখিত আকারে দিতে হবে। উনি তা দেননি। আমিও হোম ছাড়িনি। এখনও সেই মেয়ের হোমে যাওয়াআসা রয়েছে।
হরিদেবপুরের মিসনারি অব দি ওয়ার্ড নামে ওই হোমে তিনশোরও বেশি আবাসিক থাকে থাকে। সেই হোমেরই ব্রাদারের সঙ্গে হোমের এক শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। ব্রাদারের বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও। কিন্তু ভিডিয়ো বা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি জি ২৪ ঘণ্টা।
হোমের যিনি দায়িত্ব রয়েছেন সেই ব্রাদার অরুণ জেভিয়ার্সের বিরুদ্ধেই ওই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হোমের এক টেলারিং টিচার ওই যৌন হেনস্থার বারবার প্রতিবাদ করেছেন। এমনকি পুলিসকেও জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। এর জন্য তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। বেশকিছু ছাত্রীর সঙ্গে যৌন হেনস্থা করা হতো বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।
অভিযোগ পেয়ে পুলিস হোমটিকে ঘিরে ফেলে। যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসবাদের পর পুলিস যায় অরুণ জেভিয়ার্সেকে গ্রেফতার করতে। তখন হোমের কর্মীদের একাংশ তাতে বাধা দেয়। তাদের দাবি, হোমের ব্রাদর মানুষ নন, ভগবান। ওই খবর করতে গিয়ে হামলার শিকার হন জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি রণয় তেওয়ারি। তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। শেষপর্যন্ত পুলিস গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে।