উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিস বাড়ছে মৃতের সংখ্যা , খবরই পাননি মুখ্যমন্ত্রী!

চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। এনসেফেলাইটিস কাণ্ডে অবশেষে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। তীব্র প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর।  নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন  উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়ার খবর সরকারকে জানানোই হয়নি।এমনকী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনও এবিষয়ে তাঁকে পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হয়। তথ্য গোপন ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তিন স্বাস্থ্য কর্তাকে সাসপেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jul 25, 2014, 06:42 PM IST
উত্তরবঙ্গে  এনসেফেলাইটিস বাড়ছে মৃতের সংখ্যা , খবরই পাননি মুখ্যমন্ত্রী!

কলকাতা, জলপাইগুড়ি: চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। এনসেফেলাইটিস কাণ্ডে অবশেষে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। তীব্র প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর।  নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন  উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়ার খবর সরকারকে জানানোই হয়নি।এমনকী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনও এবিষয়ে তাঁকে পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হয়। তথ্য গোপন ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে তিন স্বাস্থ্য কর্তাকে সাসপেন্ড করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে সরিয়ে নতুনলোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন।  মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে পারলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না।

উত্তরবঙ্গে এনসেফেলাইটিসে  মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৪। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আজ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আজ মারা গিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সতেরো জন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে মুম্বইতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার। আজ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সরকারি চিকিত্সা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, সরকারের তরফে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উত্তর দিনাজপুরে এখনও এই রোগের সন্ধান না মিললেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর তৈরি আছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাসবিহারী দত্ত। উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও পরিষেবা অমিল বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামে গ্রামে গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা বা শূকরের টীকাকরণের কোনও লক্ষণ এখনও চোখে পড়েনি বলেও অভিযোগ তাঁদের।

 

.