জুতোয় চে, নিন্দামুখর বামমহল
নিশ্চিত জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যে আকর্ষণ ছিল না তাঁর। আদর্শ আর মানুষের মুক্তির টানে হেলায় প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। এমন কিংবদন্তি বিপ্লবীকে যে পুঁজিবাদী সমাজ জীবদ্দশায় গ্রহণ করতে পারেনি, সহ্য করতে পারেনি, সেই বামপন্থী নেতাই মৃত্যুর পর বিশ্বের কাছে হয়ে উঠলেন তারুণ্যের প্রতীক।
নিশ্চিত জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যে আকর্ষণ ছিল না তাঁর। আদর্শ আর মানুষের মুক্তির টানে হেলায় প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। এমন কিংবদন্তি বিপ্লবীকে যে পুঁজিবাদী সমাজ জীবদ্দশায় গ্রহণ করতে পারেনি, সহ্য করতে পারেনি, সেই বামপন্থী নেতাই মৃত্যুর পর বিশ্বের কাছে হয়ে উঠলেন তারুণ্যের প্রতীক। তিনি চে গুয়েভারা। কী ভাবে ব্যবহৃত হননি তিনি, তাঁর অবয়ব? টি শার্ট, জামা, টুপি, রিস্ট ব্যান্ড, ঘড়ি, মোজা, অন্তর্বাস, মিউজিক ভিডিও--সব কিছুতেই তাঁর মুখ যথেচ্ছ ব্যবহৃত হয়েছে। যে ধনতান্ত্রিক বাজার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেই বাজারই তাঁকে পণ্য করে তুলেছে নির্মমভাবে। মুনাফার লোভে। বাদ পড়েনি মদের বোতলও। চে-র মতো কোনো ব্যক্তিত্বকেই সম্ভবত পুঁজিবাদী বাজার ব্যবস্থা এত ব্যাপক ভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেনি। সেই দীর্ঘ পণ্যের তালিকায় এ বার নতুন সংযোজন জুতো। একটি বিখ্যাত মার্কিন সংস্থা চে-র মুখ ব্যবহার করেছে তাদের জুতোয়। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দায় সরব চে-র অনুগামী এবং বামপন্থীরা। কলকাতায় এই জুতো এসে পৌঁছনোর পর বিষয়টির সমালোচনা করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। এই পণ্য ব্যবহার না করার জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন যুব সম্প্রদায়ের কাছে।