CESC-র রিসিভিং স্টেশনে আগুনে নাকাল জনজীবন
প্রিন্সেপ স্ট্রিটে CESC-র রিসিভিং স্টেশনে আগুন। আর এই অগ্নিকাণ্ড বেরিয়ে পড়ল সরকারি হাসপাতালগুলির বেআব্রু চেহারা। অন্ধকারের ডুবে যায় মেডিকেল কলেজ ও এনআরএস হাসপাতালের কয়েকটি ব্লক। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।
ওয়েব ডেস্ক: প্রিন্সেপ স্ট্রিটে CESC-র রিসিভিং স্টেশনে আগুন। আর এই অগ্নিকাণ্ড বেরিয়ে পড়ল সরকারি হাসপাতালগুলির বেআব্রু চেহারা। অন্ধকারের ডুবে যায় মেডিকেল কলেজ ও এনআরএস হাসপাতালের কয়েকটি ব্লক। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।
বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ CESCর রিসিভিং স্টেশনে আগুন লাগে। প্রিন্সেপ স্ট্রিটে CESCর রিসিভিং স্টেশনের বেসমেন্টে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা বেসমেন্ট। একে একে পৌছে যায় দমকলের দশটি ইঞ্জিন। প্রায় ১ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে সাতটি ইঞ্জিন। অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় সিইএসসির নিজস্ব পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু বুধবার তা কাজ করেনি।
আগুন লাগায় কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্ধকারে ডুবে যায় ডেভিড হেয়ার ব্লক, গ্রিন বিল্ডিংসহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেশ কয়েকটি বিল্ডিং। মেডিক্যালের নিজস্ব জেনারেটর খারাপ থাকায় দীর্ঘ সময় সেখানে কোনও বিদ্যুত ছিল না। সমস্যায় পড়েন চিকিত্সকরা। একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে জেনারেটর ভাড়া করে চলছে কাজ। ৫০মিনিট পরে জেনারেটর চালু হলেও, ফের তা বিকল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাহত হয় পরিষেবা। মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও বিদ্যুত বিভ্রাট। প্রশ্ন উঠছে শহরের মেডিকেল কলেজগুলিতে আপতকালীন পরিস্থিতিতে বিদ্যুত পরিষেবা বহাল থাকার কথা। কিন্তু বুধবারের আগুনে কেনও বেহাল হল হাসপাতালের বিদ্যুত পরিষেবা।
সেন্ট্রাল, চাঁদনিসহ একাধিক স্টেশনে আলো নিভে যায়। বন্ধ হয়ে যায় টিকিট কাউন্টার, স্মার্ট গেট। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। ট্রান্সফরমার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। আগুন আলার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সিইএসসি। ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।