পাওয়া যাবে না চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনী, সুষ্ঠুভাবে হবে কি ভোট? উঠছে প্রশ্ন
ভোটের দিন কলকাতায় পঞ্চাশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র তিন কোম্পানি বাহিনী। এই দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পুরভোটে গণ্ডগোল হলে দায় সরকারকেই
ব্যুরো: ভোটের দিন কলকাতায় পঞ্চাশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র তিন কোম্পানি বাহিনী। এই দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পুরভোটে গণ্ডগোল হলে দায় সরকারকেই
নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।
রাজ্যে এই মুহূর্তে আটচল্লিশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। চল্লিশ কোম্পানি বাহিনীকে জঙ্গলমহল থেকে সরাবে না রাজ্য সরকার। পাহাড়ের আট কোম্পানি বাহিনী থেকে তিন কোম্পানি পুরভোটের দিন কলকাতায় মোতায়েন করা হচ্ছে। পনেরোই এপ্রিল শহরে এই বাহিনী চলে আসবে বলে কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর। কিন্তু, তিন কোম্পানি বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করা আদৌ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
কলকাতায় বুথের সংখ্যা চার হাজার সাতশো চার।
পুলিসের হিসাব অনুযায়ী এর মধ্যে প্রায় নশো চল্লিশটি বুথ স্পর্শকাতর।
পুরভোটের দিন তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হলে বাস্তবে মাঠে নামবেন দুশো চল্লিশ জন জওয়ান।
যার মানে দাঁড়াচ্ছে গড়ে চারটি স্পর্শকাতর বুথের জন্য একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে পাওয়া যাবে।
এই পরিস্থিতিতে শহরে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী পাহাড় ও জঙ্গলমহল যদি সত্যিই হাসে তা হলে সে খান থেকে বাহিনী সরাতে বাধা কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন তারা। পুরভোটে দিল্লি থেকে বাহিনী আসবে না ধরে নিয়েই এগোচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় আগে থেকেই রাজ্য সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে রাখছে তারা।
ভোটের দিন কলকাতার স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেবে বলে পুলিস সূত্রে খবর। কিন্তু, দুশো চল্লিশ জন জওয়ান কী ভাবে একশো চুয়াল্লিশটি ওয়ার্ডের পরিস্থিতি সামাল দেবেন তা নিয়ে সংশয় যাচ্ছে না।