Anubrata Mondal: জল্পনার অবসান! সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত, আসানসোল বিশেষ আদালতে পেশ
Anubrata Mondal: অনুব্রতর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ B ধারায় এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন প্রথমে আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর এসিএল হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রেফতারির পর তাঁকে নিয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। সেখানে তাঁকে পেশ করা হয়। গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে মোট ১০টি নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে দশম নোটিসের পরেও তিনি হাজিরা এড়ান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোরুপাচার কাণ্ডে (Cattle/Cow Smuggling Case) সিবিআই (CBI) কি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে? বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত এ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও, এবার সেই ধন্দের অবসান হল। কেন্দ্রীয় তন্তকারী সংস্থার পাকাপাকি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল যে, বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal/ Anubrata Mondal) গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে বেজে দশ মিনিট নাগাদ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ B ধারায় এবং আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের ৭,১০,১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিন প্রথমে আটক করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরপর এসিএল হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রেফতারির পর তাঁকে নিয়ে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। সেখানে তাঁকে পেশ করা হয়। গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে মোট ১০টি নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে দশম নোটিসের পরেও তিনি হাজিরা এড়ান। এরপর বোঝাই যাচ্ছিল যে কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িয়ে পৌঁছে যান সিবিআই-এর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে পুরো বাড়ি আধাসেনা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ভিতরে ঢোকেন অফিসাররা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। একই সঙ্গে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেননি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। তাঁকে গ্রেফতারি পরোয়ানায় সই করতে বললেও তিনি রাজি হননি। তখনই তাঁকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়ায়। এই বিষয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বান গুহঠাকুরতা বলেন, "এখনও পর্যন্ত ওঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারির একটা পদ্ধতি রয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরি করা, ওঁর আইনজীবীকে জানানো এবং নিটকবর্তী একজন আত্মীয়কে জানান। সিবিআই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ ধারায় নোটিস দিয়েছে। ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সময় দেওয়া দরকার। যেটা ওঁকে দেওয়া হয়নি। আমি নিশ্চিত ভাবে বলছি গ্রেফতার করা হয়নি।"