সিবিআই `প্রেমী` রাজ্যসরকার সারদাকাণ্ডে উল্টোপথে, উঠছে বিতর্ক
সারদাকাণ্ডে গোড়া থেকেই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্টও জমা দেয়নি তারা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন যে তৃণমূল নেত্রী প্রায় সব ঘটনাতেই সিবিআই তদন্ত দাবি করতেন, আজ তাঁরই সরকার কেন উল্টোপথে হাঁটছে? বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতাও।
সারদাকাণ্ডে গোড়া থেকেই সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে আসছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্টও জমা দেয়নি তারা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন যে তৃণমূল নেত্রী প্রায় সব ঘটনাতেই সিবিআই তদন্ত দাবি করতেন, আজ তাঁরই সরকার কেন উল্টোপথে হাঁটছে? বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতাও।
নন্দীগ্রাম থেকে নেতাই, তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ড থেকে জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ড, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন অতীতে বারবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর, সিবিআই ইস্যুতে আমুল বদলে গিয়েছে দলের অবস্থান। সারদা চিটফান্ড প্রতারণায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর। প্রায় রোজই জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দলের রাজ্যসভার এক সাংসদকে। বিরোধীরা বারবার দাবি তুললেও শুরু থেকেই সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে ঘোর আপত্তি রাজ্য সরকারের। রাজ্য পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট যে তদন্ত চালাচ্ছে, তাতে কত টাকার প্রতারণা হয়েছে, কীভাবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে, এসব নিয়ে অনুসন্ধান হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সারদা কাণ্ডে শাসকদলের যেসব নেতামন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে, তদন্তে তা ফোকাসে আসছে না।
সিবিআই নিয়ে রাজ্যের গড়িমসির জল গড়িয়েছে সর্বোচ্চ আদালতেও। সারদা কাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্ত হবে না, গত আঠেরোই জুলাই রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য আদালতকে তা জানায়নি। সোমবার শুনানির পর রাজ্য সরকার আদালতের কাছে আরও সময় চেয়েছে। রাজ্যের আবেদন মেনে জবাব দেওয়ার জন্য আরও ছসপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। দশ সপ্তাহ বাদে ফের এই মামলার শুনানি হবে। ফলে সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের বিষয়টি আরও পিছিয়ে গেল।